বাংলাদেশের উপন্যাস নিয়ে প্রথম ওয়েবসাইট বাংলাদেশি নভেলস-এর উদ্যোক্তা প্রাবন্ধিক ও সমালোচক সুব্রত কুমার দাসের এ সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রাবন্ধিক ও গবেষক মিল্টন বিশ্বাস।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উপন্যাস নিয়ে আপনার ওয়েব সাইট বাংলাদেশি নভেলস-এর শুরুর আগের কথা আমাদের একটু বলুন?
উত্তর: আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশি নভেলস চালু হয় ২০০৩ সালের ২ অক্টোবর। কিন্তু সে আনুষ্ঠানিকতার পূর্বে আমাকে একটি দীর্ঘ সময় পার করতে হয়েছে সে স্বপ্নটা তৈরি হওয়ার জন্যে, প্রস্তুতির জন্যে। এর আগে বাংলা ভাষায় বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমি লেখালেখি করতাম এবং সে লেখালেখির সিংহভাগই ছিল উপন্যাস সাহিত্য নিয়ে। ১৯৯৮ সালের দিকে আমি প্রথম বাংলাদেশের উপন্যাস নিয়ে ইংরেজি ভাষায় প্রবন্ধ লেখা শুরু করি। কোন্ প্রণোদনা সে শুরুর পেছনে কাজ করেছিল তা ঠিক মনে পরে না। তবে উদ্দেশ্য হিসেবে একটা বিষয় খুব নাড়া দিচ্ছিল – সেটি হলো আমাদের সাহিত্য নিয়ে ইংরেজিতে লেখালেখি করা। কিন্তু আমি খুব ভাল করেই জানতাম সে লেখালেখিটা কবিতা বা ছোটগল্প বা নাটক নিয়ে করতে আমি পারবো না। আর তাই যখন ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ লেখা শুরু করলাম তখনও বিষয় হিসেবে বাংলা উপন্যাসকেই আশ্রয় করলাম। লেখাগুলো প্রকাশিত হতে শুরু করলো ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতা বা সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনগুলোতে।
প্রশ্ন: সে লেখালেখির কোন পর্যায়ে আপনি একটি ওয়েব সাইট বানানোর কথা ভাবলেন?
উত্তর: মোটামুটি ১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি শুরু হয়েছিল। সে সময় মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন প্রধানত সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে। আমিও একইভাবে ইন্টারনেটের সাথে পরিচিত হই। তবে অধিকাংশ ব্রাউজারের কাজ মেইল করা বা সার্চ করা পর্যায়ে থাকলেও এক সময় আমি সার্চ ইঞ্জিনটিকে সাহিত্য সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করতে শুরু করি। তখনতো ইন্টারনেটের ভাষা ছিল শুধুই ইংরেজি, অন্ততঃ আমাদের জন্যে। বাংলায় ইউনিকোড এসেছে তো আরো অনেক পরে। সার্চ ইঞ্জিনে ইংরেজি সাহিত্যের বিভিন্ন লেখক-সাহিত্যিক বা বই খুঁজতে গিয়ে হাজার হাজার লাখ লাখ পেইজের তালিকা মনিটরে ভেসে উঠতো। সার্চ করার এমনই এক পর্যায়ে আমি অনলাইনে আমাদের সাহিত্যিকদের বা তাঁদের সাহিত্যকর্মকে অনুসন্ধান করতে শুরু করি। এবং বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করি রবীন্দ্রনাথ ততদিনে অনলাইনে মোটামুটি উপস্থিত থাকলেও নজরুল খুবই সামান্য এবং ওয়ালিউল্লাহ্ বা বাংলাদেশের অন্য কোন সাহিত্যিক নেই বললেই চলে। ইন্টারনেটে বাংলাদেশের সাহিত্যের এই অনুপস্থিতি আমাকে খুব পীড়া দিতো।
প্রশ্ন: সে পীড়ন থেকেই কি বাংলাদেশি নভেলস-এর জন্ম?
উত্তর: না, ঠিক তখনই একটি ওয়েব সাইট করার স্বপ্ন আমার ভেতরে জাগে নি। আজকে বারো বছর পর ওয়েব সাইট বিষয়টি যেভাবে ডাল-ভাতে পরিণত হয়েছে সে সময়ে তা ছিল না। তবে অনলাইনে বাংলাদেশের সাহিত্যকে উপস্থাপন করার জন্য আমি তাগিদ বোধ করতে থাকি। শুরু করি বিভিন্ন সাহিত্য বিষয়ক ওয়েব সাইটের কর্তৃপক্ষের কাছে ধরণা দিতে। কেননা ততদিনে ইংরেজিতে লেখা আমার প্রবন্ধের সংখ্যা অনেকগুলো হয়ে গেছে। আমি ঐসব ওয়েব সাইটের কর্তৃপক্ষকে ই-মেইল করে অনুরোধ করতাম বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে আমার লেখা প্রবন্ধ প্রকাশ করার জন্য? দু চারটি সাইটে কিছু লেখা প্রকাশ করতেও আমি সক্ষমও হই। এভাবেই অনলাইনে আমাদের সাহিত্যকে উপস্থাপনের বিষয়টি আমার কাছে ক্রমশ সহজ হয়ে উঠতে থাকে। আর তেমনই একটি সময়ে বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে একটি আলাদা ওয়েব সাইট বানানোর স্বপ্ন আমি দেখতে শুরু করি।
প্রশ্ন: সে স্বপ্ন কিভাবে পূরণ হলো আমাদের বলবেন কি?
উত্তর: বাংলাদেশি নভেলস-এর মূল ডিজাইনটি খাতায় এঁকে এঁকে আমি নিজেই বানিয়েছিলাম। অনেক ওয়েব সাইট দেখতে দেখতে ভাবনাটি আমার ভেতরে কাজ করেছিলো। লোগোটি বানিয়ে দিয়েছিলেন দুজন ওয়েব ডিজাইনার। আমাকে হিসেব করতে হচ্ছিল বাংলাদেশের উপন্যাস নিয়ে আসলে আমার হাতে কি রকম মেটেরিয়াল আছে এবং সে মেটেরিয়ালগুলোকে একটি ওয়েব সাইটে কীভাবে সাজানো যেতে পারে। তারপর প্রথমে ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করি এবং ডোমেইন নাম অনুযায়ী সাইটের ডিজাইন কাজ শুরু হয়। এরপর কয়েকজন বন্ধু ও প্রিয়জন নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে ওয়েব সাইটটি অনলাইনে হোস্টিং করার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে করা হবে। আর সে পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের ভিতর দিয়ে বাংলাদেশি নভেলস-এর উদ্বোধন ঘোষণা হয়।
প্রশ্ন: উদ্বোধন অনুষ্ঠানের কথা কিছু বলবেন?
উত্তর: আমি খুবই কৃতজ্ঞ যে সে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তখন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মনসুর মুসা। প্রধান অতিথি হিসেবে তাঁকে পাওয়া এবং আলোচক অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ফকরুল আলম এবং মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে পাওয়া ছিল আমার মতো অপরিচিত একজন লেখকের জন্য বিরাট এক সৌভাগ্যের বিষয়। আমি ভেবে গর্বিত হই যে সেদিনের অনুষ্ঠানে দেশের কয়েকজন বরেণ্য সাহিত্যিক যেমন রাবেয়া খাতুন, আবুবকর সিদ্দিক, রিজিয়া রহমান, মুহাম্মদ নূরুল হুদা, ইমদাদুল হক মিলন, মঈনুল আহসান সাবের প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। অন্য কাজে আটকে থাকায় দেরিতে হলেও এসে পৌঁছেছিলেন সাম্প্রতিক বাংলাদেশের উপন্যাসের অগ্রদূত নাসরীন জাহানও।
প্রশ্ন: প্রথমে তো শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষাতেই মেটেরিয়াল আপলোড করেছিলেন। পরে বাংলাতেও দিলেন প্রেক্ষাপটটি কেমন ছিল?
উত্তর: সাইটের ইংরেজি অংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ লিংক হলো ‘আর্টিকেলস’। এতে প্রথম পর্যায়ে আমি দেশের বত্রিশজন ঔপন্যাসিককে নিয়ে বত্রিশটি আলাদা আলাদা আর্টিকেল দেই। এছাড়াও ‘সর্ট বায়োস’ এবং ‘আদারস’ নামের দুটি আলাদা লিংক ছিল। সে সময় প্রতি মাসেই কিছু কিছু সংযোজনের ব্যবস্থা করেছিলাম। ২০০৪ সালে ‘নিউ নভেলস’ নামে একটি আলাদা লিংক দিয়ে সে বছর বই মেলায় প্রকাশিত বেশ কিছু উপন্যাসের একটি তালিকাও সংযোজন করি। এছাড়া ‘এক্সার্পটস’ নাম দিয়ে একটি লিংক যুক্ত করা হয় যেটির অধিনে ইংরেজিতে অনূদিত বাংলাদেশের কিছু উপন্যাসগুসের প্রথম কয়েকটি পৃষ্ঠা করে আমারা আপলোড করি। উদ্দেশ্য, বিদেশিরা যেন আমাদের উপন্যাসের স্বাদ পায়।
ইতোমধ্যে, এক সময় আমার মনে হতে থাকে বাংলা ভাষাতেও উপন্যাস নিয়ে আমার বেশ কিছু সংখ্যক লেখা জমেছে। আর তাই তখন তাগিদ বোধ করি একটি বাংলা বিভাগ খোলার। ২০০৫ সালের বইমেলায় ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে সেটির উদ্বোধন করেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি আল মাহমুদ, মুহম্মদ নূরুল হুদা, ইমদাদুল হক মিলন, নাসরীন জাহান প্রমূখ। বাংলা অংশে ‘ঔপন্যাসিক’ ও ‘বিবিধ প্রবন্ধ’, সাক্ষাৎকার, উপন্যাস নিয়ে আলোচনা, উপন্যাস, পশ্চিমবাংলার উপন্যাস প্রভৃতি শিরোনামের লিংক রয়েছে।
প্রশ্ন: ওয়েবসাইটে সাহিত্যকে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য কি ছিল?
উত্তর: উদ্দেশ্য একটাই, অনলাইনে বাংলাদেশের সাহিত্য বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন। অন্য লেখকদের কথা না হয় বাদই দিলাম। বাংলাদেশ অঞ্চলের গত সত্তর বছরের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর নাম লিখে গুগুল বা ইয়াহু ইঞ্জিনে সার্চ দিলেও যখন আমি উত্তর পেতাম ‘ডিডনট ম্যাচ’ তখন আমার মনে হতো এটি তখনকার চৌদ্দ কোটি বাঙালির ব্যর্থতা। আমার ভেতরে তীব্র এক ক্রোধ কাজ করতো যেকোন ভাবেই হোক এই ‘ডিডনট ম্যাচ’কে ‘ম্যাচড দ্য ফলোইং’ করতে হবে।
প্রশ্ন: শুরুর সময়ে কাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছিলেন? কোনো অসহযোগিতা ছিল কি?
উত্তর: সহযোগিতা পেয়েছি বহুজনের। আজ এতদিন পর চিন্তা করতে বসলে আমি টের পাই প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতার বাইরেও বহুজন আমাকে পরোক্ষে সাহায্য করেছিলেন বলেই এই সাইটটি চালু করতে পেরেছিলাম। আমার অনেক লেখক, সহকর্মী ও ব্যক্তিগত বন্ধু এবং বেশ কয়েকজন আত্মীয় ও ছাত্রছাত্রী তাঁদের সময়, মেধা এবং অর্থ খরচ করে আমার পাশে সে সময় নিঃস্বার্থভাবে না দাঁড়ালে আমার পক্ষে বাংলাদেশি নভেলস করা সম্ভব হতো না। আর অসহযোগিতা? সে প্রসঙ্গ না হয় থাক। শুধু এটুকু বলে রাখি, আমার উপর অনেক লেখক ক্ষুব্ধ হয়েছেন তাঁদের নাম না দেওয়ার জন্যে, বা কারো কারো কম সংখ্যক বই নিয়ে আলোচনা করার জন্যে।
প্রশ্ন: ওয়েব সাইট পরিচালনার আর্থিক যোগানটি কীভাবে চলে?
উত্তর: আমরা সকলেই জানি, এমন একটি ওয়েব সাইট যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য অবশ্যই স্পন্সর দরকার। বহু প্রতিষ্ঠান, বহু জনের কাছে চিঠি দিয়েছি, বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু ইতিবাচক সাড়া পাইনি। আর্থিক যোগানটি আমার ব্যক্তিগত খাত থেকেই চলে। সম্প্রতি টরন্টোর কয়েকজন বন্ধু সহযোগিতার জন্যে এগিয়ে এসেছেন। তাঁদেরকে কৃতজ্ঞতা।
প্রশ্ন: যতদুর মনে পরে ওয়েব সাইটের উদ্বোধনটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলুন?
উত্তর: আলোড়ন বলতে এটুকু বলা যায় প্রায় সকল দৈনিক পত্রিকা ৩ এবং ৪ অক্টোবর ছবিসহ দীর্ঘ সংবাদ প্রকাশ করেছিল। চ্যানেল আইয়ের রাত দশটার সংবাদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়। বাংলাদেশ রেডিওতেও বার বার ঘোষণা হয়েছিল ওয়েব সাইট উদ্বোধনের কথা। পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি পত্রিকা ওয়েব সাইট নিয়ে দীর্ঘ রিভিউ প্রকাশ করে। ২০০৪ সালের ইংরেজি নববর্ষ সংখ্যায় ‘ডেইলি স্টার’ ২০০৩-এর প্রধান যে তিনটি প্রকাশনাকে ‘পাবলিকেশন্স দ্যাট মেট দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করে, তার ভেতরেও আমাদের ওয়েব সাইটটি ছিল।
প্রশ্ন: আপনার ওয়েব সাইটের বয়স প্রায় দশ বছর পার করেছে। এই দীর্ঘ সময়ে সাইটটি কি আপনি প্রত্যাশিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন?
উত্তর: প্রত্যাশিতভাবে কাজ করতে পেরেছি সে দাবি করা যাবে না। অনেক সময়ই প্রত্যাশিত নতুন লেখা পাই না। শুরুতে এ সাইটের সকল লেখার একমাত্র লেখক আমি নিজে থাকায় লেখা তৈরিতে ঘাটতি হয়েছে। আর তাই সাইট আপডেশন প্রয়োজন অনুযায়ী এগুতে পারে নি। যেমন ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আমি ভীষণভাবে আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপের কাজের সাথে যুক্ত হয়ে যাওয়ায় অনেক দিন নতুন লেখা হয় নি। আর তাই সাইটও স্থবির হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া অন্য আরেকটি যে অসুবিধা আছে সেটি টেকনিক্যাল। সে কাজটি করার জন্য সব সময় আমাকে অন্য মানুষের উপর নির্ভর করতে হয়। উপযুক্ত লোক পাওয়া, প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করা ইত্যাদি ব্যাপারে ঘাটতি থাকায় সাইট আপডেশন প্রয়োজন মতো করা হয়ে উঠেনি।
প্রশ্ন: আপনার ওয়েব ভিত্তিক সাহিত্যচর্চাকে কি টার্নিং পয়েন্ট অব ওয়েবসাহিত্য বলা যায়?
উত্তর: টার্নিং পয়েন্ট কি না সেটি পাঠক বলবেন। তবে সাইটটি আপলোড হওয়ার পর শত শত মেইল পেয়েছি। বিশেষ করে বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি বা বাঙালি পাঠকদের কাছ থেকে। কেননা ততদিন পর্যন্ত আমাদের সাহিত্য ইন্টারনেটের সুযোগকে ব্যবহার করতে পারে নি। আমরাই প্রথম সেটি করেছিলাম।
প্রশ্ন: সাইট চালাতে গিযে বিশেষ কোনো নেতিবাচক অভিজ্ঞতা কি হয়েছে?
উত্তর: নেতিবাচক অভিজ্ঞতা একবারে কম না। একবার হঠাৎ আবিষ্কার করি দেশের একটি ইংরেজি পত্রিকায় ভিন্ন নাম দিয়ে একজন লেখা ছাপাচ্ছেন যে লেখাগুলি জাস্ট আমার সাইট থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করা। ঐ পত্রিকায় সে-লেখা ছাপানো থামাতে আমাকে অনেক দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হয়েছিল।
প্রশ্ন: বাংলাদেশি নভেলস নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু বলুন?
উত্তর: আমি আসলে এই সাইটটিকে একটি ওয়েব জিনের মতো কিছু করতে চাইনি বরং চেয়েছি এটি হবে এক ধরনের রিসোর্স মতো। বিশ্বায়নের বর্তমান সময়ে মানুষের জ্ঞানচর্চার অন্যতম হাতিয়ার ইন্টারনেট। সে হাতিয়ার সাহিত্যচর্চাতেও কম শক্তিশালী নয়। আমার উদ্দেশ্য ছিল আমাদের সাহিত্য বিষয়ক জ্ঞানচর্চায় যেন আমরা কোনভাবেই পিছিয়ে না যাই। নিজের সাধ্য মতো, যোগ্যতা মতো আমি সে কাজটিই করে চলেছি। এ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা পেলে এবং লেখালেখিতে আরো বেশি সময় দিতে পারলে রিসোর্স হিসেবে বাংলাদেশি নভেলস আরো কার্যকর হয়ে উঠতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
7 Comments
পপি চৌধুরী
নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ধন্যবাদ সুব্রত’দা।
Subrata Kumar Das
অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
Mulla Bahauddin
নি:সন্দেহে একটি প্রসংনিয় উদ্দোগ। বাংলা সাহিত্যকে দেশে বিদেশে আরও জনপ্রিয় করার জন্য তাঁর এই শ্রম এবং মেধা বৃথা যাবে না।
Subrata Kumar Das
মোল্লাভাই,
আপনি মন্তব্য লিখেছিলেন। আমি তখন দেখিনি।
এখন আপনি ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছেন৷
Farzana
Excellent initiative
Lutfun nahar Lata
বাংলা সাহিত্যের জন্যে এটি আপনার একটি যুগান্তকারী অবদান! আপনার চিন্তাজগত আরো বর্ধিষ্ণু হোক। আপনার কলম ও মেধা দুটিই চলুক ক্ষুরধার! অভিনন্দন সুব্রত দা!
Subrata Kumar Das
লতা, আপনার মন্তব্য অনেক দেরিতে চোখে পড়লো।
ভালো থাকবেন।