শেকড়ের দাগ
মহসীন হাবিব
উত্তর পাড়াকে উপজেলার ক্ষমতার কেন্দ্র বলা যায়। উপজেলা বাজার থেকে উত্তর দিকে কিছু দূর এগোলেই উত্তর পাড়ার শুরু। বাজার থেকে রাস্তা এসে উত্তরপাড়ায় ঢুকেই দু’দিকে ভাগ হয়ে গেছে। হাতের ডান দিকের রাস্তার নাম মনুমিয়া সড়ক। এই মনুমিয়া সড়ক কিছুদূর চলার পর ৯০ ডিগ্রি বাঁক নিয়ে সোজা গিয়ে মিশেছে উপজেলা-ফরিদপুর রাস্তার সঙ্গে। রাস্তার বাঁকের কোণাতেই আওয়ামী লীগ নেতা মানিক সরদারের বাড়ি। বাড়িতে সারাক্ষণ লোকজনের আনাগোনা, পুলিশের যাতায়াত চলছে। একটি বা দুটি সরকারি বা বেসরকারি গাড়ি সব সময় দেখা যায়। রাত ১২টা, ১টার সময়ও লোকজনের যাতায়াত চোখে পড়ে।
বাকি অন্য রাস্তাটির নাম হাজির গলি। এই রাস্তা ধরে কিছুদূর এগোলেই বিএনপি নেতা ইমারত হোসেন টিপুর বাড়ি। বিশাল শাদা দোতলা নীরবে দাঁড়িয়ে আছে। লোকজনের তেমন ভিড় নেই। এই বাড়িটি এখন যেন ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি। এরশাদ সরকার পতনের পর বিএনপি ক্ষমতা গ্রহণ করে। প্রথম তিন বছরেই ভাঙা টিনের ঘরের জায়গায় গড়ে ওঠে এই বিলাসবহুল বাড়ি। ক্ষমতার আগুন দপদপ করে জ্বলত সারাক্ষণ। আওয়ামী শাসন আসার পর যেন ঘুমিয়ে পড়েছিল। কিন্তু নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, এই বাড়িও আবার সরব হয়ে উঠছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জিতলে আবার গর্জে উঠবে এই বাড়ি। টিপু বর্তমানের রাজনীতির নানা কর্ম নিয়ে ব্যস্ত। সারাক্ষণ আগামী নির্বাচনের জন্য ছাত্রদল এবং যুবদলকে সংগঠিত করছে।
তরপরও ইমারত হোসেন টিপু বিএনপির এক নম্বর ব্যাক্তি না। শুধু এই উপজেলায় না, গোটা জেলায় এক নম্বর ব্যাক্তি হলেন বিএনপির সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মাহবুব হোসেন চৌধুরী। অস্বীকার করার উপায় নেই তার ছায়াতলেই টিপু নেতা হয়ে উঠেছে, টাকা পয়সার মুখ দেখেছে। মাহবুব চৌধুরী স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকতে সিএমএমইউ’র কোটি কোটি টাকার কাজ হাতে এসেছে। শুধু ফরিদপুর জেলার না, সারা বাংলাদেশে টিপুকে সালাম দিয়ে চলতে হয়েছে ডাক্তার, ঠিকাদার, অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের। প্রথম ঠিকাদারি কাজটি এসেছিল ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের রিপোয়ারিং। দশ লাখ টাকার কাজ। মাহবুব সাহেব মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘টিপু, কাজটা নে।’
সামনে দাঁড়িয়েছিলেন সিএমএমইউ’র প্রকৌশলী। তিনি হাত কচলাতে কচলাতে বললেন, ‘জ্বী টিপু ভাই, কাজ খুবই সুন্দর। আপনি খালি কাজটা নিন। যা করার আমি করব।’
ঠিকাদারি কাজের এই ‘সুন্দর’ জিনিসটা কী, তা অল্প কয়েকদিনেই টিপু বুঝে গেছে। টিপুর প্রথমে নিজেরই বিশ্বাস করতে অসুবিধা হয়েছে। দশ লাখ টাকার কাজ সে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকায় সেরেছে। শুধু চুনকাম করতে হয়েছিল। কর্মকর্তারা প্রতিযোগিতা লাগেছে কার আগে কে নোট দিয়ে বিল পাস করবে। এতকাল টিপু শুনেছে, সরকারি কর্মকর্তারা নাকি জাউরা। টাকা ছাড়া মায়ের দাফনও করে না। এখন টিপু দেখল উল্টো। তারা কীভাবে টেন্ডার দিতে হবে, কীভাবে বিল করতে হবে সব পথ বাতলে দিয়েছে। মাত্র কয়েক দিনেই টিপুর ব্যাংক একাউন্ট টাকায় ভরে গেছে। দেশের নামি দামি ডাক্তার, প্রফেসরদের ভিড় লেগে যেতো টিপুর কাছে তদবীরের জন্য। ক্ষমতার কাছাকাছি থাকলে যে কত সোর্স থেকে টাকা-পয়সা আসতে থাকে তা টিপু কল্পনাও করতে পারেনি। পরে সব জেনেছে, দেখেছে। এমনও দেখা গেছে ভদ্রলোক টিপুর বাড়িতে এসেছেন। বয়স্ক মানুষ। দেখলেই বোঝা যায় ডাক্তার প্রফেসর কিছু একটা হবেন। হাত কচলাতে কচলাতে নিজের নাম বলেছেন। কাচুমাচু করে পকেট থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা বের করে হাতে দিয়ে বলেছেন, ‘আপনি আমার ছেলের বয়সী। কিছু মনে করবেন না, এটা রাখুন। সামান্য, চা খাবেন । আমি আবার আসব। আমার ছোট্ট একটা কাজ আপনাকে করে দিতে হবে।’
ভদ্রলোক আর আসেননি। হয়তো এমনিতেই তার কাজ হয়ে গেছে। তিনি মনে করেছেন টিপু সাহেব কাজটি করে দিয়েছে। যাক, অল্পতেই হল। অথবা লোকটি বাড়ি গিয়ে হার্ট অ্যাটাক করেছে। এমন ফাউ টাকা ও টিপুর হাতে অনেক এসেছে। টিপুর অত খবর রাখার সময় ছিল না। এখন টিপু অনেক পাকা খোলোয়াড়। শুধু এবারের নির্বাচনে আল্লাহর নামে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে পারলেই হয়! টিপু এখন প্রায়ই মনে মনে ভাবে, আহারে! শালা মানিক খাইতেছে এখন! অবশ্য টিপুর ধারণা মানিক অত পাকা না। মানুষ বলে আওয়ামী লীগের লোকেরা খায় যা, তারচেয়ে নষ্ট করে বেশি। টিপু লক্ষ করে দেখেছে, কথা মিথ্যা না। অবশ্য বেশি চালাক চতুর হওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। টাকা উড়ে উড়ে আসে।
টিপুর জানা ছিল না ছোট্ট একটা কাজের বায়না হিসাবেও মানুষ পঞ্চাশ হাজার হাতে দিয়ে যায়। অথচ দিনে পঞ্চাশ টাকা মজুরিতে সে কাজ শুরু করতে যাচ্ছিল।
এরশাদের সময়ের কথা। তখন টিপুর সংসারে কোনো আয় ছিল না। সে বিস্কুটের বেকারীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। প্রতিদিন সাইকেলের পেছনে করে বিস্কুট নিয়ে দোকানে দোকানে দিয়ে আসবে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইলের পর মাইল সাইকেল চালিয়ে মোটা কাগজের বাক্স ভরা সব বিস্কুট সাপ্লাই দিয়ে শেষ করতে হবে। সন্ধ্যায় মিলবে পঞ্চাশ টাকা। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু আল্লাহ যারে সাপ্লাই দেয়, তার কী আর বিস্কুট সাপ্লাই দেওয়া লাগে!
বিস্কুটের ফ্যাক্টরিতে কাজের বাধ সাধল বিএনপির এক পাতি নেতা খবির মিয়া। কীভাবে আল্লাহ টিপুকে সাপ্লাই দিল তা সব মনে আছে। তখন দুর্দণ্ডপ্রতাপ এরশাদ ক্ষমতায়। এরশাদের গদি ধরে জনতা টানাটানি করছে আর এরশাদ পীর ফকিরদের বাড়ি বাড়ি দৌড়াচ্ছে। তখনো বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এরশাদের ওপর পুরোপুরি নাখোশ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু রাজনীতিবিদরা ঠিকই বুঝে গেছে যে এরশাদের দিন শেষ, আমাদের এলাকায় যোগাযোগ বাড়াতে হবে। সে কারণে মাহবুব চৌধুরী ঘনঘন গ্রামের বাড়ি আসতে শুরু করেছেন। খবির মিয়া জোর করেই টিপুকে একদিন নিয়ে যায় মাহবুব চৌধুরীর উপজেলার বাড়িতে। চৌধুরী সাহেব উঁচুতলার মানুষ। তারা ব্রিটিশের সময় থেকেই ক্ষমতাধর। অর্থকড়ি অঢেল। এক সময় জমিদারি ছিল। তার বাপ দাদার আমল থেকেই জাহাজের ব্যবসা আছে। টেক্সটাইল মিল আছে। বিএনপির রাজনীতি করলেও তার গোড়া যথেষ্ট শক্ত। কয়েকজন লে. জেনারেল, মেজর জনারেল, ব্রিগেডিয়ার তার নিকটাত্মীয়। যেসব রাজনীতিবিদদের নিকটাত্মীয়রা জেনালের, লে. জেনারেল থাকে, তাঁদের অনেক বাড়তি সুবিধা আছে। এরশাদের মন্ত্রীসভায়ও তাঁর দুজন নিকটাত্মীয় ছিল।
খবির মিয়া বলেছিল, ‘শোনরে টিপু, উঁচু তলার মাইনসের কাছে থাকলে সিঁড়ির খোঁজ পাওয়া যায়। তুই বিস্কুট ফেরি করতে যাবি তো? বেতন পঞ্চাশ টাকা? চল আমার সাথে, পঞ্চাশ টাকা আমি ব্যবস্থা কইরা দিলেই তো অয়।’
মাহবুব চৌধুরী তখন উপজেলায়। তিনি উপজেলায় থাকলে সেই সময় কিছু লোকজন জোগাড় করে তাঁর বাড়িতে যেতে হয়। খবির মিয়ার লোকবল দেখাতে হয়। এটা রাজনীতির নিয়ম। যার যত লোক বেশি, তার তত গুরুত্ব। ভাড়া করে মিটিঙে লোক নেওয়ার মতোই নেতাদের সামনেও লোক নিয়ে যেতে হয়। নেতারা মাথা গোনেন, মগজ গুণতে পছন্দ করেন না।
টিপু প্রায়ই খবির মিয়ার সঙ্গে যায়। খবির মিয়া পঞ্চাশ টাকা ধরিয়ে দেয়। কোনো কোনো বার দেয় না। তাতে ক্ষতি নাই। কাজকর্ম ছাড়া ফাউ টাকা। দু-একদিন না পেলে টিপুর ক্ষতি নেই। বরং সেখানে চা চলতে থাকে, বিস্কুট চলতে থাকে। মাঝে মাঝে বহু মানুষের জন্য খিচুরি পাকানো হয়। টিপু খেয়ে নেয়।
সব সময় মাহবুব চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলার বা দেখা করার সুযোগ হয় না। হঠাৎ চান্স পাওয়া যায়। মাহবুব চৌধুরী মিষ্টি করে হাসেন। সবার সঙ্গে কথা বলেন। টিপু নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকে। কী দিয়ে কী ভুল কথা হয়ে যাবে ঠিক নেই, তার চেয়ে চুপ করেই থাকাই ভালো। সে শুনেছে, চৌধুরী সাহেব রাগ হলে নাকি ভীষণ দুর্ব্যবহার করেন। যাতায়াত করে টিপু এ কথাও শুনেছিল যে চৌধুরী সাহেব এবং তার পরিবারের সবাই এলাকার লোকদের নাকি এখনো প্রজা হিসাবে গণ্য করেন।
তবে এমনিতে চৌধুরী সাহেব তাদের সাথে রাজনৈতিক খবরাখবরও বলেন। বিশেষ করে নির্বাচনের সময় হলে তিনি গরিব দুঃখী সবার দোস্ত বন্ধু হয়ে যান। এইটাই রাজনীতির নিয়ম। একদিন তিনি বললেন, ‘এরশাদ তো খুব নিরপেক্ষতা দেখাতে চাচ্ছে, ভারতের কাছে সাধু সাজার চেষ্টা করছে। তার এক মন্ত্রী হিন্দুদের এক শ্মশান ঘাট পরিদর্শনে গিয়ে বলেছেন, “আপনারা খাবেন এখানে আর কুলি ফেলবেন ভারত গিয়ে তা ঠিক না, এগুলো বাদ দিতে হবে।” প্রতিবাদ হয়েছে। এরশাদ সেই মন্ত্রীকে অপসারণ করেছে!’
সবাই অতি আগ্রহ নিয়ে তখন মাহবুব চৌধুরীর কথা শুনছে। টিপু হঠাৎ মুখ ফসকে বলে ফেলেছে, ‘কথা তো মন্ত্রী মিথ্যা কয় নাই। এইডা তো চরম সত্যি কথা। এরশাদ তার চাকরি খাইল ক্যান?’
মাহবুব চৌধুরী চশমার নিচ দিয়ে দেখলেন। প্রশ্রয়ের হাসি দিয়ে বললেন, ‘সব সত্যি বলতে নেই। রাজনীতির বক্তব্য থাকে আলাদা।’
টিপু দাঁত বের করে হেসে বলেছিল, ‘এরশাদ যত খারাপই হোক, তার একটা কাম কিন্তু আমার জব্বর মজা লাগছে।’
মাহবুব চৌধুরী জিজ্ঞাসার দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়েছিলেন। রসিকতাপূর্ণ হাসি দিয়ে বলেছিলেন, ‘এরশাদের কোন কাম তোমার পছন্দ হয়েছে?’
টিপু বলেছিল,‘এরশাদ হিন্দু শালাগো ছাই দিয়া ধরছিল। বঙ্গভূমির জাল ফালাইছিল। কিন্তু হেরাও তো চালাক কম না, টাকি মাছের মত চ্যালাৎ কইরা বাইর হইয়া গেছে। আমি হইলে বড়বড় দুই চাইরটারে পর্থমেই খাইয়া দিতাম।’
মাহবুব সাহেব টিপুর মনস্তত্ব বুঝতে চেষ্টা করছিলেন। তিনি বললেন, ‘তাতে লাভ কী হইতো?’
নিচু স্বরে ভয়ে ভয়ে টিপু বলেছিল, ‘বাড়ি ঘর রাইখা দৌড়াইয়া সব ভারত যাইতো। আমরা একটা পিউর বাংলাদেশ পাইতাম! প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ!’
মাহবুব চৌধুরী সেদিন একটি তৃপ্তির হাসি দিয়ে টিপুর পিঠ চাপড়ে দিয়েছিলেন। আর কোনো কথা বলেননি। হয়তো ভাগ্যটা টিপুর সেদিনই খুলে গিয়েছিল।
টিপু জোঁকের মতো লেগে যায় মাহবুব চৌধুরীর সঙ্গে। এমনকি তার দামী গাড়িতে চড়ে ঢাকায় যায়। মাহবুব চৌধুরীর খরচেই ঢাকায় থাকে। চৌধুরী সাহেব তাকে আপন করে নিয়েছেন। কিন্তু খবির মিয়া রাজনীতির পথে আর উঠতে পারেনি। কি এক অজানা কারণে তার নাম উঠলেই মাহবুব সাহেব কপাল ঘুচিয়ে বলতেন, ‘লোকটা বেশি বোঝে।’
তবে ইমারত হোসেন টিপু খবির মিয়াকে অসম্মান করেনি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় এল, টিপু যখন প্রচ- ব্যস্ত, তখন খবির মিয়া টিপুর বাসায় এসেছে কয়েকবার। অনেকের সঙ্গে এসেছে ছোটখাটো কাজ নিয়ে। টিপু নেমে আসতেই সবাই উঠে দাঁড়িয়েছে। মাফলার মাথায় দিয়ে খবির মিয়াও নীরবে উঠে দাঁড়িয়েছে। টিপুর চিনতে ভুল হয়নি। সে বলেছে,‘খবির ভাই, আপনে আইছেন। এই মুসা, এইখানে চা দিতে ক।’
টিপু খোঁজ নিয়ে জেনেছে, খবির মিয়া একদিনও চা খায়নি। নিঃশ্বাস ছেড়ে টিপু এখন ভাবে, দেশের মানুষের মধ্যে বিরাট এক ব্যাধি আছে। কেউ কাউকে ছেড়ে উপরে উঠে গেলে আর ভাল চোখে দেখতে পারে না।
বিয়ের ভাগ্য টিপুর আরো সুপ্রসন্ন ছিল। ’৯৪-এ বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের শুরু হল চরম পলিটিক্স। দু’গ্রুপ হয়ে গেছে খ্যাত-অখ্যাত ডাক্তারদের মধ্যে। পৃথিবীর সবচে’ ভয়ঙ্কর রাজনীতি যে বাংলাদেশের সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে চলে টিপু তা দেখেছে।
দুই গ্রুপ দফায় দফায় মরিয়া হয়ে উঠে মন্ত্রীর সবচে’ কাছের লোক টিপুকে ম্যানেজ করার জন্য। টিপু সাহেব যে অবিবাহিত তা সবাই জানে। ডা. কুতুব উদ্দিন রাজনীতিতে ভুল করেন না। টিপু সাহেবের জন্য পাত্রী দেখা হচ্ছে জেনে তিনি তার বড় মেয়ে শায়লার বিয়ে দিতে এগিয়ে আসেন। শায়লা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন ইতিহাসে মাস্টার্স করছে। সেইবার মেডিকেল এসোসিয়েশনে কুতুব সাহেবদের দাবি-দাওয়াই সরকার মেনে নিয়েছিল। বিরাট ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল। তিনজন মন্ত্রী, বাংলাদেশের সব বড় ডাক্তার, ১০-১২ জন সচিব টিপুর বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। সময় দেখতে দেখতে চলে যায়। শায়লা এখন এক বাচ্চার মা। বিয়ের এক বছর পার হতেই রনির জন্ম হয়।