হাসান আজিজুল হক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্পকার, অনবদ্য কথাশিল্পী। যাঁর রচনাশৈলীতে পাঠক বিমোহিত হয়ে যান, কথাসাহিত্যে বুঁদ হয়ে থাকেন। নিজস্ব বর্ণনাভঙ্গির কারণে তাঁর গদ্য ভিন্নতর মাধুর্যের অধিকারী হয়ে রাজত্ব করছে। সে কারণেই তিনি হয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান লেখক। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ঝুলিতে বিভিন্নসময় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় সব সাহিত্য পুরস্কার। তিনি ১৯৭০ সালে পান বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে পান একুশে পদক, ২০১৯ সালে পান স্বাধীনতা পুরস্কার। পেয়েছেন ‘সাহিত্যরত্ন’ উপাধিও । ২০০৮ সালে ‘আগুনপাখি’ উপন্যাসের জন্যে কলকাতা থেকে ‘আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার’ পান। বাংলা সাহিত্যের এই বিদগ্ধ কথাসাহিত্যিকের জন্ম ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯, যবগ্রাম, বর্ধমান, পশ্চিমবাংলা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনশাস্ত্র বিভাগে অধ্যাপনা শেষে অবসর নেয়ার পর ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর মৃত্যু বরণ করেন। ১৯৬০ সাল থেকে শুরু করে আমৃত্যু লেখালেখির সাথেই নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। তাঁর সমস্ত রচনার সমন্বয়ে প্রকাশিত হচ্ছে ‘হাসান আজিজুল হক রচনাবলি’।
প্রথম খণ্ডে রয়েছে- সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য (ছোট গল্প), আত্মজা ও একটি করবী গাছ (ছোট গল্প), শামুক (উপন্যাস), বৃত্তায়ন (উপন্যাস), কথাসাহিত্যের কথকতা (গদ্য ও প্রবন্ধ), চালচিত্রের খুঁটিনাটি (গদ্য ও প্রবন্ধ), লালঘোড়া আমি (কিশোর উপন্যাস)
দ্বিতীয় খণ্ডে রয়েছে- জীবন ঘষে আগুন (ছোট গল্প), নামহীন গোত্রহীন (ছোট গল্প), শিউলী (উপন্যাস), অণু-উপন্যাস, ছোবল (উপন্যাস), অপ্রকাশের ভার (গদ্য ও প্রবন্ধ), অতলের আঁধি (গদ্য ও প্রবন্ধ)
তৃতীয় খণ্ডে রয়েছে- পাতালে হাসপাতালে (ছোট গল্প), আমরা অপেক্ষা করছি (ছোট গল্প), কথা লেখা কথা (প্রবন্ধ), লোকযাত্রা আধুনিকতা সাহিত্য (প্রবন্ধ), সক্রেটিস (জীবনদর্শন), ফুটবল থেকে সাবধান (কিশোরগল্প), চন্দর কোথায় (অনূদিত নাটক)
চতুর্থ খণ্ডে রয়েছে- রোদে যাবো (ছোটগল্প), মা-মেয়ের সংসার (ছোটগল্প), আগুনপাখি (উপন্যাস), ছড়ানো ছিটানো (গদ্য ও প্রবন্ধ), সাক্ষাৎকার ও অন্যান্য রচনা (গদ্য ও প্রবন্ধ), চিন্তন-কণা (গদ্য ও প্রবন্ধ)
পঞ্চম খণ্ডে রয়েছে-বিধবাদের কথা ও অন্যান্য গল্প (ছোটগল্প), রাই কুড়িয়ে বেল (ছোটগল্প), সাবিত্রী উপাখ্যান (উপন্যাস), কে বাঁচে কে বাঁচায় (গদ্য ও প্রবন্ধ), বাচনিক আত্মজৈবনিক (গদ্য ও প্রবন্ধ), রাজনীতির অলিগলি (গদ্য ও প্রবন্ধ)
ষষ্ঠ খণ্ডে রয়েছে- ফিরে যাই ফিরে আসি (আত্মজীবনী), উঁকি দিয়ে দিগন্ত (আত্মজীবনী), এই পুরাতন আখরগুলি (আত্মজীবনী), দুয়ার হতে দূরে (আত্মজীবনী), লেখা-না লেখা (গদ্য ও প্রবন্ধ)
সপ্তম খণ্ডে রয়েছে- তরলাবালা (উপন্যাস), রবীন্দ্রনাথ ও ভাষাভাবনা (প্রবন্ধ), উন্মোচিত হাসান (সাক্ষাৎকার), গ্রন্থিত ও অগ্রন্থিত অন্যান্য সাক্ষাৎকার
অষ্টম খণ্ডে রয়েছে- একাত্তর : করতলে ছিন্নমাথা (মুক্তিযুদ্ধ), টান (স্মৃতিগদ্য), স্মৃতিগদ্য : বন্ধনহীন গ্রন্থি (গদ্য ও প্রবন্ধ), লন্ডন ডায়রি (ভ্রমণ), সুগন্ধি সমুদ্র পার হয়ে (কবিতা ও কবিতাভাবনা), কিলিমানজারোর বরফপুঞ্জ ও অন্যান্য গল্প (অনুবাদ)
আট খণ্ডের এই রচনাবলি প্রকাশ করছে ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ। ৫০০০ পৃষ্ঠারও অধিক পৃষ্ঠার এই রচনাবলি ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রি অর্ডারকারীদের হাতে পোঁছে যাবে বলে জানা গেছে।
সৌজন্যে : www.suryalaw.ca