কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও গবেষক মজিদ মাহমুদ বাংলাদেশের শক্তিমান লেখক। আশির দশক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যাঁর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থিতি। বাংলা সাহিত্যের সাথে তাঁর নিবিড় সঙ্গ ও সংযোগের কারণে তাঁর সৃষ্টিতে একদিকে নতুন বর্ণালীর দেখা মেলে, অপর দিকে সেগুলোর মধ্যে নিরলস গবেষণার ধারাবাহিকতা বা ক্রমসাধনার ছাপ পরিলক্ষিত হয়। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে কবিতার বইয়ের মধ্যে রয়েছে মাহফুজামঙ্গল, গোষ্ঠের দিকে, বল উপখ্যান, আপেল কাহিনী, ধাত্রী ক্লিনিকের জন্ম, নির্বাচিত কবিতা, সিংহ ও গর্দভের কবিতা, কাঁটাচামচ নির্বাচিত কবিতা, দেওয়ান-ই-মজিদ, গ্রামকুট, কবিতামালা। প্রবন্ধ ও গবেষণাগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-নজরুল তৃতীয় বিশ্বের মুখপাত্র, কেন কবি কেন কবি নয়, ভাষার আধিপত্য ও বিবিধ প্রবন্ধ, নজরুলের মানুষধর্ম, উত্তর-উপনিবেশ সাহিত্য ও অন্যান্য, রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণ-সাহিত্য, সাহিত্যচিন্তা ও বিকল্পভাবনা, রবীন্দ্রনাথ ও ভারতবর্ষ, নির্বাচিত প্রবন্ধ, সন্তকবীর শতদোঁহা ও রবীন্দ্রনাথ, ক্ষণচিন্তা। গল্প ও উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে-মাকড়সা ও রজনীগন্ধা, মেমোরিয়াল ক্লাব, শিশু সাহিত্যের মধ্যে বৌটুবানী ফুলের দেশে, বাংলাদেশের মুখ উল্লেখযোগ্য। সম্পাদনা কর্মের মধ্যে রয়েছে বৃক্ষ ভালোবাসার কবিতা, জামরুল হাসান বেগ স্মারকগ্রন্থ, পর্ব (সাহিত্য-চিন্তার কাগজ), অনুবাদ কর্মের মধ্যে রয়েছে-অজিত কৌড়ের গল্প, যাযাবর প্রেম (মরক্কোর ঔপন্যাসিক ইউসুফ আমিনি এলালামির নোমাড লাভ এর বাংলা অনুবাদ)
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও কর্মের প্রতি আগ্রহ থেকেই গবেষণা করেছেন, কবির জীবনের নানান অজানা তথ্য-উপাত্তকে নিয়ে কাজ করছেন। এর ধারাবাহিকতায় লিখেছেন নজরুলের জীবন-ভিত্তিক উপন্যাস ‘তুমি শুনিতে চেয়ো না’। এ উপন্যাসটি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতে দুটো প্রত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। নজরুলজীবন সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে জেনে আসা তথ্যের বাইরেও অনেক তথ্য এসেছে। ‘তুমি শুনিতে চেয়ো না’ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি নভেলস-কে দিয়েছেন একান্ত সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বরুণ কুমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশি নভেলস : ‘তুমি শুনিতে চেয়ো না’ উপন্যাস সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু বলুন জানান।
মজিদ মাহমুদ : বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন সম্পর্কে বাঙালি পাঠক মাত্রই জানার আগ্রহ আছে। পশ্চিমবঙ্গের পাঠক কিংবা বাংলাদেশের পাঠক বলতে সবাই, এখানে শ্রেণি বিশেষ নাই; আস্তিক, নাস্তিক, সংগ্রামী, অসংগ্রামী সবারই নজরুলের জীবন নিয়ে আগ্রহী। আরেকটি বিষয় হলো, নজরুল নিয়ে কাজ করার বিষয়টি খুব পুরোনো। নজরুল ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণা বৃত্তি নিয়ে ১৯৯৪-৯৫ সালে একটি অভিসন্দর্ভ রচনা করেছিলাম, সেটি হলো নজরুল তৃতীয় বিশ্বের মুখপাত্র। সেটি নজরুল ইনস্টিটিউটই প্রকাশ করেছিল ১৯৯৭ সালে। নজরুল জীবনভিত্তিক উপন্যাস ‘তুমি শুনিতে চেয়ো না’ নিয়ে খুব একটা পরিকল্পনা আমার ছিল না। নজরুলের জীবনের মোটিফ একটু কঠিন। রবীন্দ্রনাথের জীবন সম্পর্কে আমরা যেভাবে তাঁর শৈশব থেকে জানতে পারি, তার পারিবারিক ইতিহাসের কারণে। কিন্তু নজরুল যখন কবি হয়ে ওঠেননি, ১৯২০ সালের আগে নজরুলের জীবন খুব বিক্ষিপ্তভাবে আমরা জানি। শৈলজানন্দ তাঁর সাথে পড়াশোনা করেছেন, তাঁর লেখা থেকে কিছু কিছু জানি। আমরা জানি, নজরুল যখন পল্টনে যুদ্ধক্ষেত্রে যান, তাঁর বন্ধু-বান্ধব যা বলেছেন সেসব থেকে জানি। সামগ্রিকভাবে জানি, তাঁর জীবন হলো খুব সংগ্রামের জীবন। খুব ছোটবেলায় তাঁর বাবা মারা গেছেন, একটি ক্ষয়িষ্ণু মুসলিম পরিবারের সন্তান। ছোটবেলায় তিনি কাজের সাথে যুক্ত হচ্ছেন, লেটো গানের দলে যুক্ত হচ্ছেন। তারপর তিনি ময়মনসিংহে চলে আসছেন। আবার শুনি তিনি মাথরুন স্কুল বা নবীনচন্দ্র ইনস্টিটিউটে ভর্তি হচ্ছেন। যেটি চুরুলিয়া থেকে প্রায় একশো কিলোমিটার দূরে। তাহলে এই ঘটনাগুলো কীভাবে ঘটেছে? যাঁর বাবা নেই, পরিবার এতোটা স্বচ্ছল না। আমরা প্রায়শই শুনে থাকে নজরুলের একটা বাউন্ডুলে জীবন। আমরা যদি তা মেনে নেই, কিন্তু তথ্য তা বলে না। তাঁর শৈশব বা কিশোর বয়স থেকেই কিছু একটা হওয়ার প্রবল বাসনা ছিল। নজরুল যখন মেট্রিক পরীক্ষা দেবেন বা দশম শ্রেণির ছাত্র। যখন তিনি পল্টনে যাচ্ছেন, এই সময়ে তাঁর যে বয়স তাতে কিন্তু প্রমাণ হয় তিনি কোনো ক্লাস মিস করেননি। প্রত্যেকটি ক্লাসে তিনি পড়েছেন। তাঁর পড়াশোনার মধ্যে সমন্বয় কীভাবে হলো? তা এক আশ্চর্যের ব্যাপার। আমার এই উপন্যাসে তার শৈশব থেকে পল্টন পর্যন্ত ব্যাপকভাবে তুলে ধরেছি। যেখানে যেখানে কোনো তথ্য পাইনি, সেখানে ফিকশনাল সহায়তা নিয়েছি। কিন্তু সেটা লজিক্যাল সিকোয়েন্স হিসেবে এনেছি, ফলে তা বিচ্ছিন্ন হয়নি। অনেকে হয়তো বলেন, নজরুল হয়তো রুটির দোকানে কাজ করে ক্লান্ত হয়ে রাতে হয়তো দারোগার বাড়িতে শুয়ে থাকতেন। বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। অথচ এসব আমাদের প্রধান প্রধান নজরুল গবেষকই এমন বলেছেন। নজরুলের সঙ্গে দারোগা রফিজুদ্দিনের ভাই, কাজী আবুল হোসেন পড়াশোনা করতেন, একই ক্লাসে, আসানসোলে। কাজী রফিজুল্লাহর ভাতিজা কাজী তালিবুর রহমান, তারও একটা বই আছ, ময়মনসিংহে এসে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন। প্রত্যেকটি জায়গায় আমি মিসিং লিংকগুলো পূরণ করতে চেষ্টা করেছি। কিছু কিছু জায়গায় ফিকশনাল, কিছু কিছু জায়গায় বাস্তবতা বা প্রতিকী কায়দায়।
বাংলাদেশি নভেলস : একজন কবি হিসেবে আপনিও কি তাঁর কবিজীবনকে ধারণ করে তাঁকে দেখাতে চেয়েছেন?
মজিদ মাহমুদ : আমি কবি নজরুলকে দেখতে চেষ্টা করেছি আমার কবিজীবন কীভাবে গড়ে উঠেছিল সেটার ভিত্তিতে। পাবনায় আমি যে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছি, সেখান থেকে কিছুদূর গেলেই হয়তো শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, কিছুদূর গেলে লালন সাঁইয়ের আখড়া, আবার পাশেই আছেন অনুকূল ঠাকুর। আমি যখন স্কুলে পড়ি বন্দে আলী মিয়ার বাড়ির পাশেই আমার বাড়ি ছিল। আমি দেখতাম পরিবেশ-প্রতিবেশ কীভাবে কবিজীবনকে প্রভাবিত করে। নজরুল যখন চুরুলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ঠিক তার পাশেই জয়দেবের মেলা, তার মতো কবি, চন্ডীদাসের মতো কবি বা কিছুদূর গেলেই রবীন্দ্রনাথের বোলপুর; অর্থাৎ এসবের প্রভাব নজরুল হয়তো ছোটবেলা থেকেই অনুভব করেছেন। অজয় নদীর এপাশে নজরুলের বাড়ি ওপাশে দিলীপ রায় কিংবা সুভাষ বসু ওপারে স্নান করছেন। এসব নজরুলের জীবনে প্ৰভাব ফেলেছে। এই জায়গাগুলোতে ফিকশনাল করে নজরুল কেন এমন হলেন তা দেখাতে চেষ্টা করেছি। নজরুল আসলে কী কী দেখেছিলেন? তাঁর যখন আট বছর বয়স, তখন ক্ষুদিরামের ফাঁসি হচ্ছে। এই ঘটনা তাঁর মনে প্রবল প্রভাব ফেলেছিলো বলে আমার মনে হয়। তিনি যখন মাথরুন বা নবীনচন্দ্র ইনস্টিটিউটে পড়তেন তখন তাঁর অনেক শিক্ষক সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা নজরুলের কৌতূহল এবং কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিলেন। নজরুলের মানসগঠনটাই আমি ব্যাপকভাবে লিখেছি। আমি নজরুলের শেষ অংশটা ধরতে চেষ্টা করেছি। নজরুলের যে নীরবতার চৌত্রিশ বছর, ১৯৪২ সালের ৯ জুলাই বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন রেডিওতে, তারপর থেকে নজরুলের জীবনে কী ঘটলো, সেগুলো খুব কমই আমাদের নজরুল গবেষণায় এসেছে। আমি ব্যাপকভাবে সেগুলোকে তুলে আনার চেষ্টা করেছি। নজরুলের চিকিৎসা কীভাবে হলো, তাঁর আর্থিক অবস্থা কেমন ছিল, তাঁর সন্তানেরা কীভাবে ছিলেন, ছেলেদের কীভাবে বিয়ে হলো, কখন তারা সংসার করলেন, এসব তথ্য যদি নজরুল গবেষকদের জিজ্ঞেস করেন দেখবেন সেখানে ডার্ক রয়েছে গিয়েছিলো, সেসব এই উপন্যাসে আছে। ছেচল্লিশে যখন মহাদাঙ্গা হলো তখন তাঁর শ্বাশুড়ি গিরিবালা দেবী নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন। অনেকেই বলেন নজরুলের শ্বাশুড়ি সংসারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে বৃন্দাবন চলে গেছেন। বরং এটাই স্বাভাবিক যে, গিরিবালা দেবীকে ওই অঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ দেখতে পারতেন না, তারা মনে করতেন নজরুলের সাথে মেয়ে বিয়ে দিয়ে তিনি জাতি চ্যুত হয়েছেন। আবার মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষও তাঁকে দেখতে পারতেন না। এমন নানান তথ্যের সমন্বয়ে আমার উপন্যাসটি নতুন মাত্রায় প্রকাশিত হবে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশি নভেলস : এমন একটি উপন্যাস লেখার বিষয়ে আপনার ভেতরে ভাবনার সূত্রপাত কীভাবে হলো?
মজিদ মাহমুদ : বছর দশেক আগে যখন আমি নজরুলকে নিয়ে ভাবছি নানাভাবে, তখন আমার কাছে মনে হলো, একজন মানুষ যিনি লম্বা সময় ধরে অসুস্থ ছিলেন, বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে দেশে আসলেন, মারা যাওয়ার পর মসজিদের পাশে কবর দেয়া হলো; যদিও তার একটা গান ছিল ‘মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই’, কিন্তু এটা কোনো সূত্র হতে পারে না। আমি বলেছি এই উপন্যাসে সেই মসজিদটাতো চুরুলিয়ার হাজি পালোয়ানের মসজিদ হতে পারতো। যেখানে প্রমীলা শুয়ে আছে। তাহলে ঘটনাটা কী ঘটলো? এইযে একজন মানুষ আত্মীয় বর্জিত, সন্তানেরা তার জীবদ্দশায় মারা যাচ্ছে; একটি সন্তান বেঁচে আছে, তিনি এখানে আসলেন, এসে পিতার মৃত মুখ দেখতে পারলেন না। সন্ধ্যার পর যখন নজরুলের কবরের কাছে গিয়ে কাঁচা মাটি হাতে করলেন তখন পিতার হৃদয় হুহু করে কেঁদে উঠলো। তখন পিত পুত্রের সাথে কথা বলতে শুরু করলেন, এই হলো আমার উপন্যাস। তখন নজরুল নিজেই তার এই কাহিনি বর্ণনা করতে শুরু করলেন।
বাংলাদেশি নভেলস : তুমি শুনিতে চেয়ো না উপন্যাসটিনা আপনি উত্তমপুরুষের বর্ণনায় লিখেছেন কিন্তু কেন?
মজিদ মাহমুদ : উপন্যাসটি অনেকটা অটোবায়োগ্রাফির আদলে লেখা। তিনি যখন মারা গেলেন তখন প্রথম অংশটা শুরু হলো কবর থেকে। প্রথম পরিকল্পনা ছিল তিনি যখন ১৯৪২ সালে নির্বাক হলেন সেই সময় থেকে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত লেখার অর্থাৎ তাঁর নীরবতার চৌত্রিশ বছর নিয়ে লেখা। পরবর্তীতে আমি যুক্ত করলাম তার শৈশবের অংশটা এবং ১৯৭২ সালে তিনি যখন আসলেন তখনকার কলকাতার বর্ণনা।
বাংলাদেশি নভেলস : কীসের ভিত্তিতে বা কোন কোন তথ্য বা রেফারেন্সের ভিত্তিতে বলছেন যে, তথ্যগুলো ধোঁয়াশার মধ্যে ছিলো তা আপনার তথ্যের ভিত্তিতে পরিষ্কার হয়েছে?
মজিদ মাহমুদ : আপনি জানেন যে, আমার নিজের একটা কবিজীবন আছে, চার দশক ধরে কবিতাই লিখে যাচ্ছি, কবিতাতেই নিবেদিত। তথ্যগুলো কোথাও না কোথাও থাকে; যখন আমি ফিকশন রাইটার হিসেবে আমি যখন গেছি, তখন চেষ্টা করেছি তাঁর বন্ধুরা তাঁকে নিয়ে যা লিখেছেন, বিচ্ছিন্নভাবে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, সেসব নিয়ে কাজ করতে। ধরুন বীরেন্দ্র ভদ্র, তাঁর সঙ্গে তিনি চাকরি করতেন, যেমন নলিনীকান্ত সরকার তাঁর সঙ্গে চাকরি করতেন রেডিওতে। কিংবা নিতাই ঘটক, কিংবা জগৎ ঘটক অথবা ধরুন তিনি বিলের মাটি আনার জন্যে গিয়েছেন তারাশংকরের কাছে; এভাবে তথ্যগুলো সন্নিবেশিত করেছি। বলা হয়, রেডিওতে নজরুলকে পেছন থেকে আঘাত করা হয়েছিল, এটার সূত্র কী? দেখা গেলো আব্দুর রহমান ফেরদৌসী নামে একজন ছিলেন, তিনি সৈয়দ মোস্তফা সিরাজের বাবা তাঁর পত্রিকায় ১৯৪৪ একটা একটা তথ্য ছেপেছিলেন, নজরুল যখন রেডিওতে কাজ করতেন তখন তিনি ভান্ডারি হিসেবে তাঁর যে পদ ছিল, ঐসময় হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার সময় দেশ ভাগ হয়ে যাবে তারা অনেকেই সেই পদ চান, এই জন্যে তাকে পেছন থেকে আঘাত করা হয়। আমি কোনো তথ্যকে কন্টামিনেটেড করিনি, তথ্যগুলো তথ্যের মতো করে দিয়েছি, কিন্তু এটিও মাথায় রাখতে হবে যে, আমি উপন্যাস লিখেছি। যে চরিত্রগুলো নজরুলের সাথে যুক্ত হচ্ছেন, তাঁরা কথা থেকে আসছেন সেসব অনুসন্ধান করে করে এগিয়েছি। যে চরিত্রগুলো নজরুলের সাথে যুক্ত হচ্ছেন, তাঁরা কথা থেকে আসছেন সেসব অনুসন্ধান করে করে এগিয়েছি। আর এসব কারণে আমার কাছে অনেক বেশি অজানা তথ্য ধরা পড়েছে। গিরিবালা দেবীকে আমি পুরো একটা অধ্যায়ে যেভাবে অঙ্কন করেছি সেটা আর কোথাও পাওয়া যাবে না। কারণ যখন কেউ নজরুল জীবনী লিখতে আসছেন তখন তারা কেউ গিরিবালা দেবীর জীবন নিয়ে ভাবছে না।
সৌজন্যে : www.suryalaw.ca