খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম ও চতুর্থ শতকে জ্ঞানবিজ্ঞানের আলোর যে উন্মেষ হয়েছিল ইউরোপে, এক এক করে বেশ কয়েকজন পাগলাটে মানুষের হাত ধরে, সেই আলো সময়ের সাথে সাথে তা আলোকিত করেছে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি আনাচকানাচ। অন্ধকার ঘরের ঘুলগুলির ভেতর দিয়ে আলো প্রবেশের মাধ্যমে যেভাবে সূচিত হয় নতুন স্বপ্নের, সেভাবে নিভৃতে যে কয়েকজন মনীষী স্রোতের বিপরীতে গিয়ে পৃথিবীটাকে মানুষের হাতের মুঠোয় আনার বীজ বপন করেছেন, তাদেরকে নিয়ে বাংলায় উপন্যাস হওয়ার বিষয়টি একেবারেই অচিন্তনীয় এবং সাহিত্যের নিরিখে তা যে বেশ দুরূহও। যাঁরা পৃথিবীকে বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, গণিতসহ বিভিন্ন বিষয়ের বহুমাত্রিক গবেষণা, অনুসন্ধান ও আবিষ্কারের মাধ্যমে আধুনিক সভ্যতার স্বপ্নের সূচনা করেছিলেন, তাঁদেরকে নিয়েই কবি ও কথাসাহিত্যিক সুজন দেবনাথ লিখেছেন ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’ উপন্যাসটি।
ভিন্ন কলেবরে, ভিন্ন কলরবে তিনি যেন একবিংশ শতাব্দীতে হাজির করেছেন সক্রেটিস, প্লেটো, হেরোডটাস, ফিডিয়াস, হিপোক্রাটিস, পিথাগোরাস, সফোক্লিসের মতো মহাপ্রতিভাবানদের। এমন ঐতিহাসিক উপন্যাস একজন পাঠকের কাছে কেবল তা বিস্ময়েরই জন্ম দিয়েছে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এথেন্স থেকে উৎসারিত আলো তিনি প্রক্ষেপণ করেছেন সাহিত্যের ক্যানভাসে। বাংলায় গ্রিসের এমন চিরায়ত সময়কে উপজীব্য করে উপন্যাস দ্বিতীয়টি নেই। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই উপন্যাসে কোনো কাল্পনিক চরিত্রই নেই। দর্শনের জনক সক্রেটিস যেখানে একজন তুমুল প্রেমিক। আছে, প্লেটোনিক প্রেমসন্ধানী প্লেটোর কবি থেকে দার্শনিক হয়ে যাওয়ার ট্রানজিশনাল আখ্যান। এ উপন্যাসে আছে, ইতিহাসের প্রথম বই রচনাকারী হেরোডটাস; ট্রাজেডির শিরোমনি সোফোক্লিসের ‘রাজা ইদিপাস’ রচনার মাহেন্দ্রক্ষণ। উপন্যাসটিকে রয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম গণত্রান্ত্রিক সংসদের বিবরণ।
কবি ও কথাসাহিত্যিক সুজন দেবনাথ তাঁর এ উপন্যাসে একদিনে যেমন তুমুল মননের স্বাক্ষর রেখেছেন, তেমনি জন্ম দিয়েছেন কৌতূহলের। রোমাঞ্চকর এই উপন্যাসটি ২০২০ সালের অমর একুশে বইমেলায় প্রথম প্রকাশিত হয়, যার দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০২১ সালে। ২০২৪-এর বইমেলায় উপন্যাসটির ষষ্ঠ মুদ্রণ প্রকাশিত হয়েছে। ইতোমধ্যে উপন্যাসটি ‘সক্রেটিস কমিউনিটি’ কর্তৃক শ্রেষ্ঠ গল্পের পুরস্কারও অর্জন করেছে। ঔপন্যাসিক সুজন দেবনাথ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা। বর্তমানে ভুটানের বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সেলর (উপসচিব) পদে কর্মরত। বাংলাদেশি নভেলসের সাথে শেয়ার করেছেন ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’ উপন্যাসের নানান দিক নিয়ে। তাঁর সাথে আলাপচারিতায় ছিলেন বরুণ কুমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশি নভেলস : ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’ উপন্যাসের পটভূমি সম্পর্কে বলুন।
সুজন দেবনাথ : পটভূমি আড়াই হাজার বছর আগের এথেন্স শহর। বছর হিসেবে খ্রিস্টপূর্ব ৫১০ থেকে ৩৯৯ অব্দ পর্যন্ত। গণতন্ত্রের জন্ম হয় খ্রিস্টপূর্ব ৫০৮ আর সক্রেটিসের মৃত্যু খ্রিস্টপূর্ব ৩৯৯ অব্দে। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম ও চতুর্থ শতককে পণ্ডিতগণ বলেন গ্রিসের ক্লাসিক্যাল সময়। সেই সময়টিই ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’এর পটভূমি। এথেন্স নামের একটি ছোট্ট শহরে সক্রেটিস, প্লেটো, হেরোডটাস, সফোক্লিসের মত কয়েকজন প্রতিভাবান মানুষ অদ্ভুত এক পাগলামি শুরু করেছিল।
তাদের পাগলামিতে মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে অন্ধকার থেকে জন্ম নিয়েছিলো আলো। মাত্র দুটি প্রজন্মে সৃষ্টি হয়েছিল সাহিত্য (ট্রাজেডি-কমেডি), বিজ্ঞান, ইতিহাস, গণতন্ত্র, চিকিৎসা, দর্শন, থিয়েটারসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রায় সবকিছু; আর সেগুলোই তৈরি করেছিল পশ্চিমের জ্ঞানবিজ্ঞান বা আজকের পৃথিবীতে জ্ঞান বলতে আমরা যা কিছু জানি সে সবকিছুর ভিত্তি। একই সময়ে, একটি শহরে বুদ্ধিবৃত্তির এরকম স্ফুরণ পৃথিবীর ইতিহাসে আর হয়নি। তাদের সেই পাগলামিকে আমি একটি মাত্র কাহিনীতে ধরতে চেয়েছি। ইউরোপিয়ান আলোর সেই জন্মকথাকে একুশ শতকের মুখের বাংলা ভাষায় একটি গল্পে বলতে চেয়েছি।
সক্রেটিস কীভাবে এথেন্সের আগোরার পথে খালি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে কঠিন দর্শনের কথা সহজ করে বলতেন। কারা কোন আদালতে ঠিক কীভাবে বিচারের নামে হত্যা করলো সক্রেটিসকে। হেরোডটাস কোথায় কোন অবস্থায় লেখা শুরু করলেন পৃথিবীর প্রথম ‘ইতিহাস’। গণতন্ত্রের মতো একটি অভিনব ব্যবস্থা কোন মানুষগুলো কীভাবে আবিষ্কার করলো। চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক হিপোক্রাটিস ঠিক কোন সময় ডাক্তারদের জন্য লিখলেন তার চমৎকার ‘হিপোক্রাটিক শপথ’।
আমি দেখতে চেয়েছি সেই থিয়েটার, যেখানে গ্রিক ট্রাজেডি জন্ম নিয়েছিল। কথা বলতে চেয়েছি পৃথিবীর প্রথম অভিনয়শিল্পীদের সাথে। ঢুকতে চেয়েছি হোমারের অন্ধ কুঠুরিতে, সফোক্লিসের নাটক লেখার মনে, ইউরিপিডিসের ট্রাজিডির গুহায়। আমি তাদের লেখাকে তাদের মতো করে ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছি। খ্রিস্টপূর্ব ৪৭২ অব্দে ইউরোপের প্রথম ট্রাজেডি লিখেন এস্কিলাস। ট্রাজেডির নাম ‘The Persians বা পারস্য’। মানুষ যতো সুখেই থাকুক না কেন, মানুষের অন্তরে চিরকালের একটা দুঃখ-কোঠা আছে, মানুষ নিজের অজান্তেই নিজের হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগায়। তাই বেদনার সাহিত্যই মানুষের মনে গভীরভাবে থেকে যায়। সেজন্য আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কালজয়ী সাহিত্যের প্রায় সবই আসলে ট্রাজেডি। সেই ট্রাজেডি কীভাবে লেখা শুরু করলেন এস্কিলাস, কী ছিলো তার প্রেক্ষাপট, সেগুলোই গল্পের মধ্যে নিয়ে এসেছি। আবার এরিস্টটলের মতে, পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ট্রাজেডি সফোক্লিসের ‘রাজা ইদিপাস’। রাজা ইদিপাসের কাহিনি পড়েছে আর ধাক্কা লাগেনি, এমন মানুষ পৃথিবীতে নেই। আমি মানতেই পারতাম না – নিজের মাকে বিয়ে করে ফেলার মতো নির্মম আর ভয়াবহ কাহিনি সফোক্লিসের মতো একজন বিশাল লেখক কেন লিখলেন! সেই প্রশ্নটি আমার একেবারে ছোট্টকালের। এই প্রশ্নের উত্তর আমাকে কেউ দিতে পারেনি। এই গল্পে আমি সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছি। আমি দেখতে চেয়েছি, ঠিক কখন সফোক্লিস উচ্চারণ করলেন, ‘আমি পৃথিবীতে এসেছি শুধুই ভালোবাসার জন্য, কখনই ঘৃণা ছড়ানোর জন্য নয়।’
প্লেটো ছিলেন একজন কবি। সক্রেটিসের ছোঁয়ায় সেই কবি প্লেটো কবিতা ছুড়ে ফেলে হয়ে গেলেন কঠিন নির্দয় দার্শনিক। তার কল্পনার আদর্শ রাষ্ট্র থেকে কবি সাহিত্যিকদের দিলেন নির্বাসন। প্লেটোর কবি থেকে দার্শনিকে বিবর্তন পৃথিবীর জ্ঞানবিজ্ঞানের ইতিহাসকেই বদলে দিয়েছে। প্লেটো দর্শন না লিখলে পৃথিবীই হতো অন্যরকম। প্লেটোর এই পরিবর্তনকে আমি খুঁজতে চেয়েছি।
এছড়া গল্পের ছায়ায় আছেন দার্শনিক পিথাগোরাস, বিজ্ঞানের জনক থেলিস, স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের সবচেয়ে গুণী শিল্পী ফিডিয়াস, নগর পরিকল্পনা শাস্ত্রের জনক হিপোডেমাস। ঐ সময়ে একঝাঁক মনীষী মেতে উঠেছিল সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। সেই উল্লাসটাকে একটি গল্পে ধরতে চেয়েছি। ঐ উল্লাসের মিথস্ক্রিয়াই ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’।
বাংলাদেশি নভেলস : আপনার এ উপন্যাসে আছে প্লেটোনিক প্রেমের আখ্যান , আছে ইতিহাসের প্রথম গ্রন্থের কথা, আছে বিজ্ঞানের জন্মের গল্প, আছে সাহিত্য-গণতন্ত্র-থিয়েটার-দর্শন-চিকিৎসাসহ মানব সভ্যতার নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতো এতো কঠিন বিষয়কে কেন সন্নিবেশিত করতে গেলেন একটি উপন্যাসের ভেতরে?
সুজন দেবনাথ : আমি স্বভাবতই বিগার ক্যানভাসের মানুষ। সুযোগ থাকলে কোন একটা বিষয়ের গভীর থেকে গভীরে গিয়ে সম্পূর্ণ দশদিকে তাকিয়ে তিনশ ষাট ডিগ্রি ছুঁয়ে একটা বিগার ক্যানভাস বানিয়ে কাজটা করতেই আমি পছন্দ করি। ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’ও ঐরকম এক বিগার ক্যানভাসের প্রোডাক্ট। অনেকগুলো অগোছালো টুকরো নিয়ে মালায় গাঁথা বা ছড়ানো ছিটানো অনেকগুলো ডটকে কানেক্ট করা চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু করতে পারলে সেটির ভেতর অন্যরকম একটা সৃষ্টিসুখ আছে। আমি সেটি উপভোগ করি। সবসময় হয়তো সেটা সম্ভব হয় না, কিন্তু ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’-এ সেই মালাটই গাঁথতে পেরে খুব আনন্দ লেগেছে।
বাংলাদেশি নভেলস : এ উপন্যাসের নামকরণের ক্ষেত্রে কেন ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’ বা এমন নির্মম নিমন্ত্রণই বা কেন করলেন?
সুজন দেবনাথ : বইয়ের নাম ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’। সেই সক্রেটিসের সময় থেকে যারাই জ্ঞানের জন্য আত্মনিয়োগ করেছেন, তারাই কোন না কোনভাবে ভয়াবহ বিপদে পড়েছেন। তাদের জন্য অজান্তেই প্রস্তুত হয়েছে এক পেয়ালা হেমলক। যারা অজানাকে জানতে চেয়েছেন, প্রচলিত জ্ঞানের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন, তারাই হেমলকের নিমন্ত্রণ পেয়েছেন সমাজের কট্টর গোষ্ঠীর থেকে। এটা সবকালে সব সমাজেই কম বেশি ছিল এবং আছে। তবু পথ ছাড়েননি পৃথিবীর জ্ঞান পিপাসুরা। কঠিন আঘাত সহ্য করেও, তারা প্রশ্ন করে গেছেন, সেই হেমলকপ্রেমীরাই পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এই গল্প সেসব হেমলকপ্রেমীদেরই গল্প। তাই নাম ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’।
বাংলাদেশি নভেলস : আপনি রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত, তারপরেও ঠিক কী কারণে গ্রিক ইতিহাসের মোটিফ নিয়ে বাংলায় উপন্যাস লেখার বিষয়ে উৎসাহী হলেন?
সুজন দেবনাথ : আমি যখন লেখার জন্য কিবোর্ডের সামনে বসি, পুরোপুরি ভুলে যাই যে, আমি লেখক ভিন্ন অন্য কিছু। তখন কূটনীতিক সত্তাটি টাইয়ে নটে বেঁধে হ্যাঙারে ঝুলিয়ে দেই। কূটনীতিকের কলমে অনেক আঁঠা থাকে, সেটি পরাধীন; লেখকের কিবোর্ড আঁঠাহীন, আলোর মত স্বেচ্ছাচারী। কূটনীতিক হিসেবে আমাকে লেখার পটভূমিটি নিয়ে ভাবতে হয়, সেটি সবসময় আমার ইচ্ছেমাফিক হবে না, সময়ের দাবীতে অনেক বিষয় এড়িয়ে যেতেই হবে; এরপর লেখার পটভূমিটি ঠিক হবার পরে আমি লেখকের জুতোয় পা গলিয়ে বাকি সব কিছু ভুলে যাই – তখন আমি লুইপা, তখন আমি বাল্মিকী – তখন আমি একেবারে আপাদমস্তক একজন সাহিত্যিক।
বাংলা উপন্যাস বা মোটাদাগে বাংলা সাহিত্যের ক্যানভাস এখনও কূপমণ্ডুক। অন্য ভাষার, অন্য দেশের মানুষের হাতে তুলে দেয়ার মতো সৃষ্টি আমাদের সাহিত্যে বেশি নেই। আন্তর্জাতিক পটভূমিকে বাংলা উপন্যাসে আনতে হলে অবশ্যই আউট অফ দ্যা বক্স চিন্তা করতে হবে, কয়েকটি সংস্কৃতির মেলবন্ধনের সক্ষমতা থাকতে হবে এবং কয়েকটি ভাষার সাহিত্যের সাথে অল্প হলেও পরিচয় থাকতে হবে। তাই গ্রিসে গিয়ে যখন একটা চমৎকার ক্যানভাস খুঁজে পেলাম, যেটির একটা আন্তর্জাতিক আবেদন আছে, আমি আমি সেই পটভূমিটি খুব আগ্রহের সাথেই নিলাম। বাংলা সাহিত্যের আন্তর্জাতিকীকরণে এই উপন্যাস যদি একটুও ভূমিকা রাখে, তবেই আমার সেই ভাবনা সার্থক হবে। আপনি জেনে খুশি হবেন যে, এথেন্সের সক্রেটিস কমিউনিটি নামে একটি ফোরাম বইটিকে সক্রেটিস বিষয়ক সাহিত্যের ( Socratic literature) এক অনন্য সংযোজন হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সক্রেটিসের জন্মদিন উপলক্ষে ২০২০ সালের জুনে এথেন্সে বইটি উপস্থাপনের জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদের কাজ চলছে, ইংরেজি পাণ্ডুলিপি পেলেই গ্রিক ভাষায় অনুবাদ করার প্রস্তাবও রয়েছে এথেন্সের সক্রেটিস কমিউনিটির পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশি নভেলস : পাঠকপ্রিয়তার কারণেই উপন্যাসটির তৃতীয় সংস্করণ এসেছে, আপনার পাঠকদের উদেশ্যে এ উপন্যাস সম্পর্কে আর বিশেষ কিছু বলবেন কি ?
সুজন দেবনাথ : এই ইউটিউব আর ফেইসবুক ভিডিওর যুগে সাড়ে পাঁচশ পৃষ্ঠার বই মানুষ এতো আগ্রহ নিয়ে পড়ছেন – এটি সত্যিই আশা জাগানিয়া খবর। সেই ২০২০ থেকেই আমি অনেক অনুরোধ পেয়েছি বইটির সিক্যুয়াল বের করার জন্য। আশা করছি ২০২৫ এর বইমেলা নাগাদ ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’-এর দ্বিতীয় খণ্ড আসবে। প্লেটোর একাডেমি, এরিস্টটলের বিজ্ঞান আর আলেকজান্ডারের ভারত অভিযানের পথে হাঁটবে ২য় খণ্ডটি।
সৌজন্যে : www.suryalaw.ca