রুয়ানা মার্জিয়া দিবা
সাহিত্য মূলত সত্য ও সুন্দরের প্রতিরূপ। এই সুন্দর প্রতিরূপ যার লেখনীতে ফুটে ওঠে তিনিই সাহিত্যিক। সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্মের উজ্জ্বলতা বা এর জ্যোতি আমরা হয়তো বাহ্য চোখ দিয়ে বইয়ের পাতায় অবলোকন করি, কিন্তু একজন সাহিত্যিক এই বাহ্য ও অন্তরের প্রতিটি বিষয়কে উপলব্ধি করে জড় জগতের রত্ন ভান্ডার অনুসন্ধান করে আনেন। আর সাহিত্যকর্ম আরও উত্তমরূপে ধরা দেয় তার হাতে, যার অধীত বিদ্যার ভেতরে সাহিত্যের বাইরেও রয়েছে বিজ্ঞান ও আইনের মতো জটিল বিষয়ের সমস্যার সমাধানের সূত্র, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, বিপণন ও আলোকচিত্রণসহ বেশ কিছু বিষয়ের জ্ঞান। হ্যাঁ বলছি তরুণ কবি, কথাসাহিত্যিক ও আলোকচিত্রী বরুণ কুমার বিশ্বাসের কথা। বর্তমান প্রজন্ম যেখানে বই বিমুখ, নেট দুনিয়ায় বুঁদ, সেখানে অন্ধের দেশে আয়না বিলানোর মতো কঠিন কাজ যিনি হাসিমুখে করে চলেছেন। লিখে চলেছেন একের পর এক বই। তাঁর লেখা উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে, ‘জলসাঘরের ঈশিতা’, ‘স্বীকৃতিহীন অপরাজিতা’, ‘দেবতার সাথে ছলচাতুরী’ ও ‘নিঃশব্দে অপরাহ্ণের মৃত্যু’ এবং উল্লেখযোগ্য কবিতার বইয়ের মধ্যে রয়েছে, ‘সমুদ্র থামাও অশ্বারোহী’, ‘পোস্টমর্টেমের বিশুদ্ধ বিজ্ঞাপন’, ‘আঙুলে শাপের খেলা’, ‘অথচ আছি নিখোঁজের বেশে’, ‘দৈবযোগে বেঁচে আছি’ ও ‘প্রায়ান্ধকারের ফুটনোট’। উপন্যাস গল্প কিংবা কবিতায় যিনি সাবলীল, তবে তাঁর রয়েছে সম্পাদনার ক্ষুরধার দক্ষতাও। ভীষণরকম প্রচার বিমুখ এই সাহিত্যিকের কথাই আজ শুনবো তাঁর কাছ থেকে।
বাংলাদেশি নভেলসের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় এ লেখকের সাথে কথা বলেছেন রুয়ানা মার্জিয়া দিবা।
বাংলাদেশি নভেলস : আপনি চমৎকার কবিতা লেখেন। আপনার উপন্যাসের বইগুলোও সমাদৃত। কবি নাকি ঔপন্যাসিক, নিজেকে কী হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
বরুণ কুমার বিশ্বাস : দেখুন, একজন মানুষের যখন একাধিক সন্তান থাকে তখন তার পক্ষে বলা মুশকিল কোন সন্তানটি তার কাছে অধিক প্রিয়; ঠিক তেমনিভাবে একজন লেখকের পক্ষেও এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। কবিতা ও উপন্যাসতো সাহিত্যেরই শাখা, কিন্তু এদের গঠন ও প্রকৃতি আলাদা আলাদা। ফলে যা আমি কবিতায় বলতে পারি না, তা উপন্যাসে বলার চেষ্টা করি। যা উপন্যাসে বলা সম্ভব নয় তা বলতে আশ্রয় নেই কবিতায়। যখন রাইটার্স ব্লক শুরু হয়, তখনতো কোনোটাই হয় না। ফ্যালফ্যালে চোখ নিয়ে তাকিয়ে থাকি শূন্যের দিকে, শূন্য পরিচয়ে। ফলে একজন লেখকের ক্ষেত্রে কোন পরিচয়টি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ তৈরি করে তা বলা সত্যি দুরূহ। আমার ভেতরেও এমন স্বাচ্ছন্দ্য আজ অব্দি আসেনি।
বাংলাদেশি নভেলস : আপনার উপন্যাস ‘জলসাঘরের ঈশিতা’ সম্পর্কে কিছু বলুন।
বরুণ কুমার বিশ্বাস : ‘জলসাঘরের ঈশিতা’ আমার সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত সর্বশেষ উপন্যাস। যেখানে ঈশিতাসহ আরো দুজন তরুণীর জীবনের গল্প বলেছি। জীবনের পিচ্ছিল পথ থেকে একবার পিছলে পড়লে সেখান থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করেও কখনও কখনও জীবনে ফেরা যায় না। ক্রমশ তা দুর্বিষহ হয়ে যায়। ঈশিতার জীবনটাও অনেকটা এমন। আবেগের বশে একজন জঙ্গিকে বিয়ে করে ফেলে। একদিন তাকে ফেলে রেখে সে চলে যায় জঙ্গি মিশনে। ঈশিতা নতুন করে বাঁচতে চায়, কিন্তু এই সমাজ তাকে আবারো বিপদে ফেলে দেয়। ক্যাসিনোতে তার চাকরি হয়। মাফিয়া বসের প্ল্যানে তাকে দেশ থেকে টাকা পাচার করতে হয়। ওর বাবা একজন ভূমিহীন বর্গাচাষী, যার জীবন নিরন্তর সংগ্রামে ভরা। অথচ ঈশিতা চাইলেও তাকে সহযোগিতা করতে পারে না। উপন্যাসে কুড়ানি চরিত্রটি এক অদ্ভুত জিজ্ঞাসা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। জন্মপরিচয় খুঁজে পেতে তার এতো এতো চেষ্টা। এই কিশোরী মনস্তাত্ত্বিক একটা সংঘাতের ভেতর দিয়ে যায়। দেয়ালে নিজের বাবা মায়ের কল্পিত ছবি আঁকতে চেষ্টা করে। সেই ছবিকে ক্ষতবিক্ষত করে এক বিচিত্র প্রতিশোধ নিতে চেষ্টা করে। আরেক তরুণীর গল্পও আছে। তার জীবন ও বাস্তবতার সুতো সরলরৈখিক। কিন্তু তা একসময়ে পরিবর্তিত হয়ে জটলা পাকিয়ে যায়। এ উপন্যাসে রয়েছে বাংলাদেশের ক্যাসিনোর ভেতর-বাহির। রয়েছে এগুলোর গডফাদারদের কথা। সময়ের প্যাঁচে পড়ে যে কীভাবে জীবন বদলে যায়, তা কেউই বলতে পারে না। আজ যে দুই পা-বিহীন পঙ্গু ভিক্ষুক, বিগত অতীতে যে ছিল দুর্ধর্ষ ডাকাত। প্রায়শ্চিত্তের আগুন তাকে আবারো হন্তারক হতে বাধ্য করে। মাফিয়াদের কর্মী হয়েও ঈশিতা আবারো নতুন সম্পর্কে জড়ায়। মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দের ভেতর দিয়েও সেই সম্পর্ক এগোয়। কিন্তু নাচের পুতুলের চার হাত-পা যে অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা! জাল টাকার উৎপাদন ও তার নেটওয়ার্কের নানান চিত্রও তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। দেশের টাকা বিদেশে পাচারের রুটের প্রাসঙ্গিক বিষয়ও আছে এ উপন্যাসে। নানান রকম ভাবনা ও আঙ্গিককে একটা প্ল্যাটফর্মে এনে একটা নতুন ধরনের ক্যানভাসকে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছি। এক কথায় বললে, এটি গল্পের ছলে বলা সমকালীন বাস্তবতারই সন্নিবেশ।
বাংলাদেশি নভেলস : মানব জীবনের কোন বিষয়টি আপনার লেখালেখির সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে?
বরুণ কুমার বিশ্বাস : বেঁচে থাকাই জীবন। কিন্তু এই বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে কঠিন বিষয়। কখনও পরিবার, কখনও সমাজ, কখনও রাষ্ট্র কিংবা পরিবেশ-প্রতিবেশের সাথে সাথে সময়ের সংঘাতে জীবন অতীষ্ট হয়ে ওঠে। দৈবদুর্বিপাকে পড়ে একটা সজল প্রাণবন্ত জীবন হয়ে যায় বনসাইয়ের মতো; ভীষণ বিকৃত ও খর্বিত। তারপরেও মানুষ বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষণতা, নিষ্ঠা, সংগ্রাম, ত্যাগ দিয়ে সেইসব প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করতে চেষ্টা করে। ঠিক যেভাবে প্রচণ্ড ঝরে একটা প্রকাণ্ড বৃক্ষের মাঝখান থেকে ভেঙে গেলেও একসময় আলো-বাতাস পেয়ে সেখান থেকেও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডাল বের হয়, পত্রল হয়। জীবনও অনেকটা এমন, বহুবিধ চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ক্রমাগত সে এগোতেই থাকে। এই এগিয়ে যাওয়া পৃথিবীর আটশো কোটি মানুষের জীবনের ক্ষেত্রে আটশো কোটি রকমের গল্প রয়েছে। কারো সাথে কারো মিল নেই, ঐক্যতান নেই। কিন্তু তারপরেও কোথাও না কোথাও একটা অদ্ভুত সাযুজ্য থেকেই যায়। যেগুলোকে নিবিড়ভাবে ব্যবচ্ছেদ করলে জীবনের একেকটা নতুন বীজের সন্ধান পাওয়া যায়। এইসব বীজের অঙ্কুরিত হওয়ার প্রক্রিয়াতেই মানবজীবন সার্থকতা। আমার কাছে এই যেগুলো চরম বিস্ময়ের জন্ম দেয়। মানব জীবনের মতো বিস্ময়কর বিষয় আর কী আছে বলুন! কতো কতো দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান সংগ্রাম, হাসি-আনন্দ, স্বপ্ন-সম্ভাবনা, সংকট-সংঘাত, রোগ-শোক, সাফল্য-ব্যর্থতা, ক্ষোভ-ভালোবাসা, মোহো-মমতা, নৈকট্য-দূরত্ব; এসবই মানব জীবনকে নির্মাণ করে। প্রতিনিয়ত এই চাক্রিক ভাঙা-গড়া, টিকে থাকার লড়াই, মানব জীবনে স্বতঃবাষ্পীভবনের মতো হতে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন এঙ্গেল থেকে জীবনকে দেখলে একটা সামগ্রিক ধারণা জন্মে। মানব জীবনের সারল্যে যে মাধুর্য থাকে, আবার জটিলতায় যে কদর্যতা থাকে, এসবই আমার কাছে লেখালেখির অনুপ্রেরণা।
বাংলাদেশি নভেলস : এবারের বইমেলায় আপনার কবিতার বই ‘সমুদ্র থামাও অশ্বারোহী’ প্রকাশিত হয়েছে। এই বইটি সম্পর্কে কিছু বলুন।
বরুণ কুমার বিশ্বাস : ‘সমুদ্র থামাও অশ্বারোহী’ আমার সপ্তম কবিতার বই। প্রত্যেক কবিতারই একেকটা প্রাণ আছে। সেই প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয় পাঠকের অন্তরে অন্তরে। এতে করে একই কবিতার ভিন্ন ভিন্ন রূপমাধুরী সৃষ্টি হয়। যা পাঠকের অনুভূতিকে আলোড়িত করে। আমার এ কবিতার বইয়েও তেমন কিছু সাধারণ কবিতা আছে। যা যে কারো মনে হতে পারে এগুলো তার নিজস্ব অন্তর্জাত, তাদেরই অব্যক্ত ভাব-ব্যঞ্জনা। আমি সবকিছু ঠিক যেভাবে দেখি, ঠিক সেভাবেই কবিতায় দেখাই। আমি বিশ্বাস করি কবিতা মানুষের দেখার শক্তিকে দীর্ঘায়িত করে নিজেও দীর্ঘায়ু লাভ করে। আমি সেরকমই কিছু কবিতা লিখতে চেষ্টা করেছি। কতোটা হয়েছে, কতোটা হয়নি সেটা নির্ধারণ করবেন পাঠক। সাম্প্রতিককালে বাংলা কবিতার ডিকশনে পরিবর্তনের ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু সেই পরিবর্তন কি কবিতাকে আবার প্রাচীনযুগের কবিতার মতো দুর্বোধ্য করে তুলছে? আধুনিককালের কবিতা যেভাবে এসব জটিলতা থেকে মুক্তি দেয়, পাঠককে স্বস্তি দেয় ‘সমুদ্র থামাও অশ্বারোহী’ ঠিক সেই ধাঁচেই লেখা।
বাংলাদেশি নভেলস : অনাকাঙ্ক্ষিত, অবহেলিত শিশুদের নিয়ে আপনার আরেকটি উপন্যাস ‘দেবতার সাথে ছলচাতুরী’, এটি নিয়ে আমাদেরকে কিছু বলুন।
বরুণ কুমার বিশ্বাস : দেবতার সাথে ছলচাতুরী উপন্যাসের দেবতারা হলো এই সমাজেরই সেইসব শিশু, যারা জন্মের পরপরই আশ্রয় পায় কোনো না কোনো ডাস্টবিনে। অথবা পৌরাণিক গল্পের মতো নদীর জলে ভেসে যায় কোনো হাড়ি-পাতিলে। মায়ের কোল যেখানে তাদের কাছে এক অসম্ভব বস্তু। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়ে যায় শেয়াল বা কুকুরের খাবার। দৈবক্রমে বেঁচে গেলেও এই সমাজের মানুষ যাদেরকে ‘বেজন্মা’ বলে অভিহিত করে। ঠিক এমনি একটি শিশুর গল্প নিয়েই এই উপন্যাস। কে বা কারা তাকে একটা পাতিলে করে যমুনার জলে ভাসিয়ে দেয়। একজন জেলে তাকে পেয়ে বাড়ি নিয়ে আসে। নাম দেয় ‘দেবতা’। তার বাকি ছেলেদের সাথে সেও বড়ো হয়। যুবক বয়সে নিয়তি তাকে আবারো ভাসিয়ে নেয়। কলঙ্ক মাথায় নিয়ে সে ভাসতে ভাসতে চলে যায় অসীম অজানায়। এমন গল্প প্রতিদিনই আমাদের চারপাশে দেখি, খবরের কাগজে পড়ি, অথচ আমরা খুব সচেতনভাবে এড়িয়ে যাই। কিন্তু আমি এই বিষয়কেই উপজীব্য করে ‘দেবতার সাথে ছলচাতুরী’ উপন্যাসটি লিখেছি।
বাংলাদেশি নভেলস : আপনি পদার্থবিজ্ঞান, আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন, এমবিএ করেছেন। বাংলা ভাষা সাহিত্যে স্নাতক করেছেন। এছাড়াও অর্জন করেছেন বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি ডিপ্লোমা। পড়ালেখাকে এতো ভালোবাসার পেছনের গল্পটা আসলে কী?
বরুণ কুমার বিশ্বাস : দেখুন, আমি অত্যন্ত সাধারণ একজন মানুষ। কিছুটা ধৈর্যশক্তি আছে। তবে আমার বিভিন্ন বিষয়ে জানার ভীষণ আগ্রহ। যা আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন, তেমন কিছু আমি একেবারে শুরু থেকেই জানতে চেষ্টা করি। এতেই আমার খুব আনন্দ, আর সে কারণেই এগুলো পড়েছি। পড়তে পড়তেই কোনো এক সময় এদের প্রেমেও পরে গেছি, বুঝতেও পারিনি। মানুষের জীবনটা এতো ছোট যে, পৃথিবীর অধিকাংশ বিষয় না জেনেই মরে যেতে হয়। আমি চেষ্টা করছি যতোটা জেনে যাওয়া যায় এই পৃথিবী থেকে।
বাংলাদেশি নভেলস : অদ্ভুত, সুন্দর এক জীবনবোধ আপনি ভাগাভাগি করে নিলেন আমাদের সাথে। আশা করি এই জীবনবোধ ছড়িয়ে পড়বে আপনার লেখনীর মাধ্যমে। বর্তমান সময়ের সাহিত্য নিয়ে কোন মতামত আছে কী?
বরুণ কুমার বিশ্বাস : বর্তমান সময়ে অনেক সিরিয়াস ধারার সাহিত্য হচ্ছে। ভালো কবিতা, ভালো গল্প, ভালো উপন্যাস হচ্ছে। কিন্তু সেগুলোর প্রমোশন নিয়ে তেমন কোনো এক্টিভিটি নেই। ফলে প্রবল ভাইরাল ভাইরাসের যুগে এসে ঐসব সাহিত্য যতটা পাঠকের কাছে পৌঁছানো দরকার, তার সিকিভাগও পৌঁছাচ্ছে না। যদি কোনো নতুন লেখকের নতুন বই সম্পর্কে একজন পাঠক না-ই জানেন, তাহলে কীভাবে তিনি সেই বইয়ের প্রতি তার আগ্রহ জন্মাবে? এটিও সত্যি যে, বই পড়ুয়াদের সংখ্যাও যথেষ্ট কমেছে। বর্তমান সময়ের সাহিত্যিকেরা তাদের কাজ ঠিকই করে যাচ্ছেন; কিন্তু যাদের বই মার্কেটিং কৌশল নিয়ে ভাবার কথা, নতুন পাঠক সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার কথা তারা কতটুকু পারছেন সেটা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভাবার বিষয়।
সৌজন্যে : www.suryalaw.ca