ধুলোমাটি ননী ভৌমিকের একমাত্র উপন্যাস। উপন্যাসটি অনেক কারণেই উল্লেখ্যযোগ্য হলেও বাংলাভাষী পাঠক এ বইটির কথা ভুলে গেছেন সহজেই। যেমনভাবে প্রশ্ন করা চলে তার গল্পগ্রন্থ ধানকানাকেই বা ক’জন মনে রেখেছেন। অথচ সত্য বিচারে বলা যায় পঞ্চাশের মন্বন্তর নিয়ে রচিত প্রধান গল্পগুলোর মধ্যে ধানকানার গল্পগুলো অন্যতম। ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত রচিত গল্পগুলোর সংকলন ধানকানা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪৭-এ, যদিও এটিই তাঁর একমাত্র গল্পগ্রন্থ নয়। দেবেশ রায় তাঁর উপন্যাসের নতুন ধরনের খোঁজে (প্রতিক্ষণ, কলকাতা, ১৯৯৪) গ্রন্থের ‘উপন্যাসে স্বদেশজিজ্ঞাসা: ধুলোমাটি’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন গল্পগ্রন্থ চৈত্রদিন-এর। অন্যদিকে শিশিরকুমার দাস তাঁর সংকলিত ও সম্পাদিত বাংলা সাহিত্যসঙ্গী (সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, ২০০০)-এর ননী ভৌমিক ভুক্তিতে উল্লেখ করেছেন আগন্তুক-এর কথা। আগন্তুক কি একটি বিচ্ছিন্ন ছোটগল্প, নাকি গল্পসংকলন? প্রকাশ সালটি ১৯৫৪ দেয়া আছে। আর আমাদের আলোচনার গ্রন্থ ধুলোমাটি প্রকাশ পায় ১৯৫৭ সালে। সুখের বিষয় আমাদের বিবেচনায় উল্লেখযোগ্য এ উপন্যাস ১৯৮৭ এবং ১৯৮৯ সালে পরপর দু’টি নতুন সংস্করণ পায়।
ননী ভৌমিককের জন্ম রংপুরে ১৯২১। যদিও পরবর্তীকালে তাঁদের পরিবার পশ্চিমবাংলার বীরভূমের সিউডিতে চলে যায়। রংপুর শহরেই স্কুল ও কলেজ শিক্ষা সমাপ্ত করেন ননী ভৌমিক। তরুণ বয়সেই দীক্ষিত হন বামপন্থী মতাদর্শে। পরবর্তীতে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যও হন তিনি। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সাংবাদিকতাকে। পঞ্চাশের মন্বন্তর এবং ১৯৪৬-এর দাঙ্গার সময়ে কাজ করেছেন স্বাধীনতা পত্রিকার জন্য। সে অভিজ্ঞতারই ফসল ধানকানা-র গল্পগুলো। ১৯৪৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ হলে গ্রেফতার হন তিনি। পরিচয় পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। কলকাতার লেনিন সরণিতে অকালপ্রয়াত লেখিকা সুলেখা সান্যাল (১৯২৮-১৯৬০) এবং তার স্বামী চিত্ত বিশ্বাসের ঘরের বাইরের অংশটা কাঠের পার্টিশন দিয়ে এক সময় পরিচয় পত্রিকার অফিস হয়। লেখিকা সুলেখা সান্যালের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়তে থাকে ননী ভৌমিকের। এ সম্পর্কেরই এক পর্যায়ে সুলেখা সান্যাল সিদ্ধান্ত নেন স্বামীর সঙ্গে না থাকার। ওদিকে ননী ভৌমিক মস্কোর প্রগতি প্রকাশনে অনুবাদকের চাকরি নিয়ে চলে যান। সহযাত্রী অন্যরা পরে ফিরে এলেও তাঁর আর ফেরা হয়নি। রুশ ভাষা থেকে অনূদিত তাঁর প্রধান গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে দস্তয়েভস্কির বঞ্চিত লাঞ্ছিত, রিডের দুনিয়া কাঁপানো দশদিন, লেভ তলস্তয়ের আন্না কারেনিনা প্রভৃতি। এছাড়াও বাংলা-রুশ-বাংলা অভিধান-এরও তিনি যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
কিন্তু তাঁর ট্রাজিক জীবনের পরিণতি এমন যে সুলেখা সান্যালের সঙ্গেও তাঁর বিয়ে হয়নি শেষ পর্যন্ত। বিয়ে করেছিলেন শ্বেতলানা নামের এক জিপসি মহিলাকে। অসুখী দাম্পত্য জীবনের ভারে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন ননী ভৌমিক। ১৯৯৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তবে মৃত্যুর আগে সাহিত্যকর্মের জন্য তাঁর ভাগ্যে জুটেছিল দু’টি উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি: বঙ্কিম পুরস্কার এবং বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরস্কার।
ধুলোমাটির মূল সময়কাল ১৯২৫ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত, যদিও উপন্যাসের কাহিনী শুরু হয়েছে অনেক আগে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষপাদে। ভারতের বিহার সংলগ্ন পশ্চিমবাংলার এক মফস্বল শহর এ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট। আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটটির উপস্থাপনার হয়েছে ফিরিঙ্গি পুকুর দিয়ে। পৃষ্ঠা দেড়েকের সে পুকুরের ইতিহাস শেষে আমরা পেয়েছি রামচন্দ্র চৌধুরীকে যিনি আমাদের উপন্যাসের প্রধান পুরুষদের পূর্বপুরুষ। খুব সংক্ষিপ্ত সে সময়ের কথা। তবে এটুকু জানা যায় রামচন্দ্র স্বপ্নদেখা শিখেছিলেন। আর তারপরই উল্টে যায় শতাব্দীর পাতা।
ইতিহাস শেষে আমরা পেয়েছি রামচন্দ্র চৌধুরীকে যিনি আমাদের উপন্যাসের প্রধান পুরুষদের পূর্ব পুরুষ। খুব সংক্ষিপ্ত সে সময়ের কথা। তবে এটুকু জানা যায় রামচন্দ্র স্বপ্নদেখা শিখেছিলেন। আর তারপরই উল্টে যায় শতাব্দীর পাতা।
মূল কাহিনী শুরু হয়েছে বীরুকে দিয়ে – রামচন্দ্রবাবুর নাতি বীরু। মনে হচ্ছিল বীরুকে বোধহয় ঔপন্যাসিক মূল চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করতে চান। কিন্তু সামান্য পরেই শিবুর অনুপ্রবেশে মনে হয়, বীরু নয়, শিবুই বোধহয় এ উপন্যাসের সম্ভাব্য কেন্দ্রীয় চরিত্র। এ অনুমোদনের ভিত্তি বীরু-শিবুর মা’র ভাবনাও বটে; ‘বীরু সুন্দর নয়… আমার কালো ছেলে… আমার একটা ছেলেই নাম রাখবে … সে শিবু।’ যদিও শিবু-বীরুর কেউই প্রকৃতপক্ষে ধুলোমাটি উপন্যাসের নায়ক হয়ে ওঠে না। প্রকৃত নায়ক হিসেবে প্রকাশিত হয় স্বদেশী আন্দোলন যুগের ওই সময়টা-বাংলার ইতিহাসের যে অধ্যায়ে আমাদের বীর সন্তানরা একের পর এক আত্মাহুতি দিয়েছে, যদিও জাতি তাদের আত্মদানের প্রতিদান হিসেবে কিছুই দেয়নি।
বীরুকে দিয়ে উপন্যাসের শুরুটা যখন হয়েছিল তখন প্রকট করে যে বিষয়টি তুলে ধরা হয় তা হলো ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য। যার একপাশে বীরু অর্থাৎ বীরেন্দ্র এবং অন্যপাশে বিনু – রায়বাহাদুরের নাতি। উপন্যাসের বাকি যারা মানুষজন প্রায় সবাই বীরুদের দলেরই। প্রতিমাদি, জগা, জগার বোন, ইয়াসিন, স্বদেশী অরুণ সবাই মননগতভাবে বীরুর কাছাকাছি; বিনুর দলে রায় বাহাদুর ছাড়া ইংরেজ পুলিশ কর্মকর্তা। এভাবেই চরিত্রগুলোর সামাজিক শ্রেণীবিন্যাস।
উপন্যাসের মূল সময়টাতে শিবু কিন্তু যথেষ্ট প্রতাপেই উপস্থিত। ম্যাট্রিক ফেল করল – ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠল পুরো পরিবার; কিন্তু শিবুর ভাবান্তর নেই। কয়েকদিনের জন্য মাত্র বাড়ির বাইরে থেকে আবার পূর্ববৎ। ‘স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার’ – এ বোধ ততদিনে তার করোটিতে দৃঢ়মূল। যোগাযোগ ঘটে চলেছে রহস্যময় মানুষের সঙ্গে। নিজেও যেমন নিখোঁজ থাকছে দু’পাঁচ দিন, তার বাড়িতে এসে অনাত্মীয় অতিথিরাও অবস্থান নিতে শুরু করেছে। আর এসবে বুক কেঁপে চলেছে শিবুর মা মোহিনী দেবীর। ‘কিছু পাবেন না আপনারা, শুধু… শুধু আমার সংসারটাকে আপনি জ্বালিয়ে দিয়ে যাবেন’ – মোহিনী দেবীর এ ভাবনার উত্তরে আশ্রিত এক অতিথি জানিয়েছিল; ‘আজ কুড়ি-বাইশ বছর হল এ পথে নেমেছি। এ কুড়ি-বাইশ বছর ধরে অপেক্ষা করে রয়েছি। এখনো হয়নি। এখনো পারিনি। এখন শরীর ভাঙতে শুরু করেছে, সহজে উত্তেজিত হই না, ক্লান্তি আসে। কিন্তু আপেক্ষা করতেই হবে। আমার জেলের পুরনো সাথি অনেকেই আজ অন্যদিকে গেছে, কেউ ধর্ম, কেউ বিশ্বাসঘাতকতা, কেউ অন্য কিছু – আমি যেতে পারি নি। শেষ দেখতে হবে। আপনাদেরও বুক বেঁেধ অপেক্ষা করতে হবে মা।’ ১৯৩২-৩৩ সালের ওই বাংলার সব মা’ই বোধহয় দিন কাটিয়েছে শিবুর মা’র মতোই উদ্বিগ্নতার ভেতর দিয়ে। যা একদিন সত্যে পরিণত হবে। খোদ রায়বাহাদুরের সাক্ষীতেই গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় শিবুকে।
জেলখানায় শিবুর অবস্থানের দিনগুলোতে অন্য আর যে একটা মানুষ স্বাধীন ভারতবর্ষের চিন্তায় নতুন ধ্যানে মগ্ন হয় তার নাম বীরু। বীরুদের ভাবনাটা ঠিক শিবুদের মতো নয়, যদিও লক্ষ্যগত প্রশ্নে সাজুয্য সেখানে বর্তমান। কিশোর বীরুর মাধ্যমিক পড়াশোনার সময়েই শহরে আসছে সৈন্যদল যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিণতি। আর উপন্যাস শেষের কালে বীরু মাধ্যমিক পাস শেষে জাহাজী ইয়াসীনের সঙ্গে কলকাতার পথে যাত্রী।
শিবুদের জেলকালীল সময়টা বড় রুক্ষ। কী ভীষণ উদ্দীপনা নিয়ে এক সময় যে ছেলের দল ঝাঁপিয়ে পড়েছিল জীবনপণ করে তারা একসময় নিজেদের কৃতকর্মকে নিজেরাই মূল্যায়ন করতে শেখে। ভারতবর্ষে তখন নতুন যে বোধ তা হলো ‘লেনিন পারবে, কমিউনিজম পারবে’। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার, জনগণকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সে ভাবনা ক্রমশ জেলখানার চার দেয়াল ভেদ করে সাধারণের ভেতরও প্রচারিত। আর তাতেই শিবুরা জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসার পর শহরে একদিন নতুন এক দৃশ্য দেখা যায়। সে দৃশ্য মিছিলের যেমন মিছিল কোনদিন দেখা যায়নি। সে মিছিলের অংশগ্রহণকারী বুড়ো-জোয়ান সবাই – সাঁওতাল, সদগোপ – জাত-বেজাত সবাই। কারো হাতে লাঠি, কারো হাতে ধনুক। আর মিছিলের সামনে অপরিচিত এক নিশান – সর্বনাশা লাল রঙ। বজ্রকণ্ঠ সে মিছিলের শ্লোগান হলো: ‘নো এক পাই! না এক ভাই। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস হোক! লাঙল যার জমি তার!’ স্পষ্ট হয় এ মিছিল অনতিশিগগিই আহবান জানাবে তেভাগা আন্দোলনের যা বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের আর এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। পট-পরিবর্তনের এ ক্রান্তিলগ্নে আবার সংবাদ আসে শিবু গ্রেপ্তার হয়েছে।
শিবু-বীরুর এ কাহিনীর অন্তর্বুননে আরও যে একটি চরিত্র বিশেষভাবে লক্ষণীয় সে হলো প্রতিমা। সেই যখন শিবুরা প্রথম প্রথম স্বদেশী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হচ্ছে তখন থেকেই প্রতিমার প্রত্যয় ছেলেদের মতো করে নিজেও ঐ কাজে যোগ দেবে। গরিব বাবার মেয়ে হয়েও গয়না খুলে দিয়েছে। শিবু গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ওর কাছে যে পিস্তল রেখেছিল সেটি সব প্রতিকূলতার মধ্যেও ধরে রেখেছে নিজের ব্লাউজের ভেতর। শিবুকে ভালবাসলেও দেশের প্রয়োজন যেহেতু ভালবাসার প্রয়োজনকে মিথ্যা করে তুলেছে তাই ‘শিবুদার কাছে ও বোনের মতো’। শিবুর সতীর্থ অরুণের প্রস্তাবে রাজি হয়েও নিজেকে সংবরণ করেছে প্রতিমা। তাই শিবু জেল থেকে ফিরলে প্রতিমার শান্ত উত্তর: রাজনীতি যারা করার তারা করুক। আমি মেয়ে, আমার যা করার অনেক করেছি। এবার শুধু মানুষ হয়ে বাঁচা শিবুদা। শুধু আমরা।’ শিবু-প্রতিমা-বীরুর এ কাহিনীর শুরুতে রামচন্দ্র ও তার স্ত্রীর কাহিনী, রামপুত্র পূর্ণচন্দ্র এবং তার স্ত্রী মোহিনীর কাহিনী দুটোও কম আকর্ষণ নয়। রামচন্দ্রের জগতের সঙ্গে সেতুবন্ধনের ক্ষমতা ছিল না বলেই তার স্ত্রী ক্রমেই তার থেকে দূরে সরে গেছেন এবং রামচন্দ্র ক্রমেই তার ইউটোপিয়ান জগতে ডুবেছেন, যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল: ‘আই’ল ড্রিম স্যার!’ যদিও সে স্বপ্ন তিনি চালু করতে পারেন নি। তার স্বপ্ন পূরণ হয় নি বলেই ছেলেকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি পারিনি। কলকাতায় সে যুগে বাঙ্গালিদের জন্য এসব পথ খোলা ছিল না। তুমি পড়ো, টাকা আমি যেমন করে পারি দেব।’ বিজ্ঞানী হওয়ার নিজের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার ইচ্ছা মেটাতে চেয়েছিলেন ছেলে পূর্ণচন্দ্রেকে দিয়ে যা, আসলে পূর্ণতার কাছাকাছিও যায় নি। সমাজ পরিবর্তনের এসব ইঙ্গিত কিন্তু ধুলোমাটিতে সূক্ষ্মভাবে প্রথিত। যেমনভাবে পূর্ণচন্দ্র তার স্ত্রীকে সাধ আহ্লাদের কথা জিজ্ঞেস করলে মোহিনী দেবীর উত্তর ছিল ‘আমাকে বই এনে দেবেন? বই পড়তে খুবই ইচ্ছে করে আমার।’ এভাবেই মূল কাহিনীতে ১৯২৫ থেকে ১৯৪০ সালের সময়টাকে চিত্রিত করার চেষ্টা থাকলেও সে সময়কালের পূর্ববর্তী সময়ের অভিঘাতগুলোও চিহ্নিত করতে ভোলেননি ননী ভৌমিক।
তিনশ’ পৃষ্ঠার ধুলোমাটির মোট চারটি ভাগে বিভক্ত: ধুলো, ঝড়ের দিন, দিনরাতের ঝড় এবং মাটি। প্রথম তিনটি ভাগের দৈর্ঘ্য প্রায় কাছাকাছি। ‘ধুলো’তে মফস্বল শহরে মধ্যবিত্ত একটি পরিবার ও তার চারপাশ নির্মাণ করেন লেখক যার শেষে স্বদেশীদের প্রস্তুতির চুড়ান্ত। ‘ঝড়ের দিনে’ স্বদেশী আন্দোলনের ওপর ইংরেজ সরকার ও সহযোগী ভারতীয়দের নির্যাতন। ‘দিনরাতের ঝড়ে’ বিপ্লবের পন্থা নিয়ে বিতর্ক – যার পরিণতিতে সাম্যবাদের আবির্ভাব। আর ছোট্ট ‘ধুলো’ এসব কিছুর পরিণতিসূচক যেখানে অন্তিম উপাখ্যান হলো কলকাতার উদ্দেশে বীরুর যাত্রা।
স্বল্পসংখ্যক উপন্যাস লিখেও সার্থক অভিধা পেয়েছেন যেসব বাংলাভাষী ঔপন্যাসিক তাদের মধ্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, অচ্যুত গোম্বামী, অদ্বৈত মল্লবর্মণ, সুলেখা সান্যাল প্রমুখ অন্যতম। তবে শুধু একটি উপন্যাস লিখেও সফলতার শীর্ষ ছুঁয়েছেন এমন ঔপন্যাসিক বোধকরি শুধু ননী ভৌমিকই।
দৈনিক সংবাদ-এর সাহিত্য সাময়িকীতে ২৩ ডিসেম্বর ২০০৪-এ প্রকাশিত।